ক্রিকেটে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট ছাড়া মুখ দেখাদেখি বন্ধ ভারত-পাকিস্তানের। দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতা খেলাধুলাকেও এমন আষ্টেপৃষ্ঠে জাপটে ধরেছে যে খেলার দিন ছাড়া পারলে এক দেশের খেলোয়াড়রা আরেক দেশের নামটা মুখে নিতে চান না। পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ ইরফান চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিয়ে যাও একটু বললেন, ভারত কাপ্তান মানপ্রীত সিংয়ের ভাষায় ‘ওদের সঙ্গে ম্যাচটা সাধারণ ম্যাচের চেয়ে বেশি কিছু না।’
উত্তেজনা অবশ্য পাকিস্তানেরই একটু বেশি থাকার কথা। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেবার পর জাপানের কাছে হারতে হারতে ২-২ গোলে আটকে নিজেদের সেমির আশা ঝুলিয়ে দিয়েছে দলটি। পুল ‘এ’র শেষ ম্যাচে যদি বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় পায় জাপান আর ভারতের কাছে হেরে বসে পাকিস্তান তাহলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় হতে পারে তিনবারের এশিয়া সেরা দলটির।
তাই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ যেমন পাকিস্তানের জন্য মান বাঁচানোর, তেমনি টুর্নামেন্টে টিকে থাকারও। অধিনায়ক ইরফানের কণ্ঠও তাই খানিকটা কেঁপে উঠলো, ‘ম্যাচটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবাই সবসময় এই ম্যাচ নিয়ে কথা বলে, সংবাদ মাধ্যমগুলোতে অনেক লেখালেখি হয়। আসলে খানিকটা উত্তেজনা তো সত্যিই থাকে।’
রোববার পুল ‘এ’র শেষ ম্যাচের আগে অবশ্য পরিসংখ্যানকে পাশে পাচ্ছেন ইরফান। এশিয়া কাপে সাতবার লড়াইয়ের পাঁচটির ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে গেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে আছে আবার ১৯৮৫ ও ১৯৮৯ দুই ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলার সুখস্মৃতিও।
তবে এশিয়া কাপের বাইরে শেষ দুই দেখায় পাকিস্তানকে ভারতের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে।
এরপর যত দিন গড়িয়েছে পথ হারিয়েছে দেশটি। আর ভারত নিজেদের নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। র্যাঙ্কিংই যার প্রমাণ। এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উপরে দুবারের শিরোপা জয়ী দলটি। আছে ৬’এ আর পাকিস্তানের অবস্থান ১৪তে।