জার্সির রং পাল্টাতেই যেন অন্যরকম করে পাল্টে গেল ইংল্যান্ড শিবির। সেটা এমনই যে, যাদের বিপক্ষে বাজেভাবে অ্যাশেজ সিরিজ হাতছাড়া করেছে কদিন আগে, সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ জিতে নিল ইয়ন মরগ্যানের দল। রোমাঞ্চ ছড়ানোর পর রোববারের জয়টি ১৬ রানের।
সিডনিতে শুরুতে ব্যাট করে জস বাটলারের সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ৩০২ রান জমা করে ইংল্যান্ড। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রানের বেশি এগোতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ৩৮ রানের শুরু এনে দিয়েছিলেন জেসন রয় (১৯)। পরে রয়, অ্যালেক্স হেলস (১) ও ইংল্যান্ডের ২১তম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০তম ওয়ানডে খেলতে নামা জো রুট (২৭) ফিরে গেলে বিপদেরই আভাস পেয়েছিল সফরকারীরা। রেয়ারস্টোও (৩৯) ততক্ষণে সাজঘরে।
দলীয় ১০৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসা ইংলিশদের উদ্ধারে পরের প্রতিরোধ মরগান ও জস বাটলারের। সেই জুটি অবশ্য ৬৫ রানের বেশি এগোয়নি। কিন্তু অধিনায়ক মরগান যখন ২ চার ও এক ছক্কার ইনিংস সাজিয়ে ৫০ বলে ৪১ রানে ফিরলেন, ততক্ষণে বড় সংগ্রহ গড়ার তল পেয়ে গেছেন শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা।
হঠাত অচেনা হয়ে পড়া মঈন আলি (৬) দ্রুত ফেরাতেও তাই ধাক্কা আসেনি। শেষ ১২ ওভারে বাটলার ও ক্রিস ওকস ঝড়ের কাছে উল্টো উড়ে গেছে অজি শিবির। স্বাগতিক বোলারদের তুলোধুনো করে এসময় একশর ওপরে রান তোলেন দুজনে।
শেষের ওই জুটি আর ভাঙা যায়নি। ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক তুলে অপরাজিত থাকেন বাটলার। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের ঠিক ১০০ রানের ইনিংসটি ৬ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো, ৮৩ বলের সাহায্যে।
ওকস অপরাজিত ছিলেন ৫৩ রানে। ৫ চার ও ২ ছক্কায় তার ঝড় তোলা ইনিংসটি ৩৬ বলের।
স্টার্ক ওভারের কোটা পূরণ করে ৬৩ রান খরচায় উইকেটশূন্য। ৬৮ রানে দুই উইকেট হ্যাজেলউডের। কামিন্স, স্টোয়নিস, জাম্পা ও মার্শের ঝুলিতে গেছে একটি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার (৮) ও ক্যামেরন হোয়াইট (১৭) দ্রুত ফিরে গেলে শুরুটা ভাল হয়নি অস্ট্রেলিয়ারও। সেখান থেকে হাল ধরার চেষ্টা করেন গত দুই ম্যাচে শতক করা অ্যারন ফিঞ্চ ও স্টিভেন স্মিথ।
ফিঞ্চ এদিন ৬২ রানের বেশি এগোতে পারেননি। ৩টি করে চার-ছয়ে ৫৩ বলের ইনিংস তার। অধিনায়ক স্মিথও ৪৫ রানে ফিরে যান। ততক্ষণে দল দুইশর কাছে চলে গেছে।
অজিদের সম্ভাবনাটা আরও উজ্জ্বল হয় পরের দুই ব্যাটসম্যান দাঁড়িয়ে গেলে। মিচেল মার্শ ও মার্কাস স্টোয়নিস এসময় রানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোতে থাকেন। কিন্তু কাজের কাজটা শেষ করে আসতে পারেননি কেউই।
মার্শ ফেরেন ৫৫ রানে। স্টোয়নিস ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৩ বলে ৫৬ রানে। শেষদিকে টিম পেইনের অপরাজিত ৩১ কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। তার ৩৫ বলের ইনিংসটি সময়োপযোগী ছিল না।
ইংলিশদের হয়ে মার্ক উড, ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। মঈন উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে ৫৭ রান খরচার পথে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতে সমর্থ্য হন।