কোচ ছাঁটাই কাণ্ডের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্প্যানিশদের প্রতিপক্ষ পর্তুগাল। যে দলে রোনালদোর মতো এক মহাতারকা রয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় মুখোমুখি হবে দল দুটি।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে স্পেন অধিনায়ক রামোস বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের বের হতে হবে। লোপেতেগি এই দলের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিলেন। তাকে ভুলে যাওয়া সহজ নয়।’
অধিনায়কের কথায় স্পষ্ট বোঝা গেছে কোচ বরখাস্ত হওয়ার ঘটনায় তারা বেশ ভেঙে পড়েছেন। তবু চেষ্টা করছেন নতুন কোচের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা সামনের যুদ্ধে মন দেব।’
বিশ্বকাপে মাত্র দ্বিতীয় বারের জন্য রোনালদোদের সঙ্গে দেখা হবে স্পেনের। সাউথ আফ্রিকা বিশ্বকাপে রাউন্ড-১৬তে প্রথমবারের দেখায় স্পেন ১-০ গোলে জিতেছিল।
সব মিলিয়ে দলদুটি ৩৫ বার এক অন্যের বিপক্ষে খেলেছে। যার মধ্যে ১৬বার জিতেছে স্পেন। পর্তুগাল ছয়বার।
বিশ্বকাপের আগে স্পেন দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের একটিতে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে। অন্যটিতে তিউনেশিয়ার বিপক্ষে লাগো আসপাসের একমাত্র গোলে জয় পায়।
দানি কারভাহাল ইনজুরি কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরলেও স্পেনের প্রথম ম্যাচে খেলবেন কী না, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
পর্তুগালও ভালো অবস্থায় রয়েছে। রোনালদো শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে দলের সঙ্গে যোগ দেন। তারা হারিয়ে দেয় আলজেরিয়াকে। ইনজুরি সংক্রান্ত তাদের কোনো শঙ্কা নেই।
সেন্টার ডিফেন্সে হোসে ফোন্টে এবং ব্রুনো আলভেজের সঙ্গে থাকবেন পেপে। আক্রমণভাগে রোনালদোর সঙ্গে যোগ দিবেন অ্যান্দ্রে সিলভা এবং গনসালো গুইডেস।
বিশ্বকাপে স্পেনের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানটা বেশ ভালো। শেষ ১৪ ম্যাচের দশটিতে জয় তাদের। হার চারটিতে।
বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে তাদের রক্ষণভাগ ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। দশ ম্যাচে মাত্র তিনটি গোল হজম করে তারা।
পর্তুগাল আশায় থাকতে পারে রোনালদোকে নিয়ে। বাছাইপর্বে সিআরসেভেন সবার চেয়ে বেশি গোলে অবদান রেখেছেন।