গতবছর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়ে লিওনেল মেসির আয় বেশি ছিল। ফোর্বস ওই বারোমাসে বিশ্বের শীর্ষ দশ উপার্জনকারী ক্রীড়াবিদের তালিকা দিয়েছে। তাতে সবার উপরে পিএসজির আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি।
মাঠ এবং মাঠের বাইরে মিলিয়ে ২০২১ সালে ১৩০ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছেন মেসি। তালিকার দুইয়ে আছেন একজন বাস্কেটবল তারকা। আমেরিকার তারকা লিবোর্ন জেমসের আয় ছিল ১২১.২ মিলিয়ন ডলার।
তিনে মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০২১ সালে রোনালদোর মোট উপার্জন ১১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মাঠের খেলায় অবশ্য ফুটবলের দুই মহাতারকার সময়টা ভালো যাচ্ছে না। দুজনেরই উপার্জনের উল্লেখযোগ্য অংশ এসেছে মাঠের বাইরের বিভিন্ন স্পন্সরশীপ ও বিজ্ঞাপন মাধ্যম থেকে।
গতবছর মেসি-রোনালদোর আয়ের তুলনায় দেখা যাচ্ছে, মেসির ১৩০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে মাঠের আয় ৭৫ মিলিয়ন, বাকি ৫৫ মিলিয়ন এসেছে মাঠের বাইরের উপার্জন থেকে।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ১১৫ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে মাঠের আয় ৬০ মিলিয়ন, আর মাঠের বাইরে খাত থেকে এসেছে ৫৫ মিলিয়ন।
তালিকার চতুর্থ স্থানে আছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। ৯০.৭ মিলিয়ন উপার্জন করে সপ্তম স্থানে সুইস টেনিস কিংবদন্তি রজার ফেদেরার।
ফোর্বসের শীর্ষ দশে যারা-
লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা, ফুটবল)- ১৩০ মিলিয়ন
লিবোর্ন জেমস (আমেরিকা, বাস্কেটবল)- ১২১.২ মিলিয়ন
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল, ফুটবল)- ১১৫ মিলিয়ন
নেইমার (ব্রাজিল, ফুটবল)- ৯৫ মিলিয়ন
স্টিফেন কারি (আমেরিকা, বাস্কেটবল)- ৯২.৮ মিলিয়ন
কেভিন ডুরান্ট (আমেরিকা, বাস্কেটবল)- ৯২.১ মিলিয়ন
রজার ফেদেরার (সুইজারল্যান্ড, টেনিস)- ৯০.৭ মিলিয়ন
ক্যানেলো আলভারেজ (মেক্সিকো, বক্সিং)- ৯০ মিলিয়ন
টম ব্র্যাডি (আমেরিকা, রাগবি)- ৮৩.৯ মিলিয়ন
ইয়ানিস আন্তেটোকৌম্পো (গ্রিস, বাস্কেটবল)- ৮০.৯ মিলিয়ন