মেসি পাচ্ছেন না; এমন ইঙ্গিত আগে থেকেই ছিল। কিছুটা সম্ভাবনা ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। শেষ পর্যন্ত তাকে দুই নম্বরে ঠেলে বিজয়ী হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ এবং ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ। গত এক দশকের বেশি সময়ে রোনালদো এবং মেসির বাইরে এই প্রথম কেউ ব্যালন ডি’অর জিতলেন।
সোমবার প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা ফুটবলারের এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয় মদ্রিচের হাতে। প্রতি বছর ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’ পুরস্কারটি দিয়ে থাকে।
২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাগাজিন এবং ফিফা একসঙ্গে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দিত। তখন নাম ছিল ফিফা ব্যালন ডি’অর। ফ্রেঞ্চ ম্যাগাজিনের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর ফিফা এককভাবে বর্ষসেরা পুরস্কারের প্রচলন করে। ব্যালন ডি’অর আলাদাভাবে দেয়া হয়।
ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলার আগে ৩৩ বছর বয়সী মদ্রিচ রিয়ালের হয়ে টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করেন। চলতি বছর উয়েফার বর্ষসেরা এবং ফিফার ‘দ্য বেস্ট’ও জিতেছেন তিনি।
রাশিয়া বিশ্বকাপে মদ্রিচ দারুণ ধারাবাহিক ফুটবল উপহার দেন। দুটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করান একটি। জেতেন আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল’।
রোনালদো, মেসির বাইরে সর্বশেষ এই পুরস্কার জেতেন ব্রাজিল এবং এসি মিলানের সাবেক খেলোয়াড় কাকা। সেটি ২০০৭ সালের কথা।
এবছর মেসি আছেন পাঁচ নম্বরে। গ্রিজম্যান তৃতীয়। এমবাপে চতুর্থ।
সেরা ১৩
প্রথম: লুকা মদ্রিচ (রিয়াল মাদ্রিদ, ক্রোয়েশিয়া)
দ্বিতীয়: ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ/জুভেন্টাস, পর্তুগাল)
তৃতীয়: গ্রিজম্যান (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ক্রোয়েশিয়া)
চতুর্থ: কাইলিয়ান এমবাপে (পিএসজি, ফ্রান্স)
পঞ্চম: লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা, আর্জেন্টিনা)
ষষ্ঠ: মোহামেদ সালাহ (লিভারপুল, মিশর)
সপ্তম: রাফায়েল ভারানে (রিয়াল মাদ্রিদ, ফ্রান্স)
অষ্টম: এডেন হ্যাজার্ড (চেলসি, বেলজিয়াম)
নবম: কেভিন ডি ব্রুইন (ম্যানচেস্টার সিটি, বেলজিয়াম)
দশম: হ্যারি কেন (টটেনহ্যাম, ইংল্যান্ড)
একাদশ: এনগোলো কন্তে (চেলসি, ফ্রান্স)
দ্বাদশ: নেইমার (পিএসজি, ব্রাজিল)
ত্রয়োদশ: লুইস সুয়ারেজ (বার্সেলোনা, উরুগুয়ে)