ভুয়া পাসপোর্ট ও জাল কাগজপত্র নিয়ে প্রবেশ করায় ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী তারকা রোনালদিনহোকে গ্রেপ্তারের পর নেয়া হয়েছে প্যারাগুয়ের আদালতে। একজন অবৈধ প্রবেশকারী হিসেবে বিচার করা হবে তার। আইনজীবী অ্যাডলফো মারিন যদিও বলছেন, এমন অপরাধ করার মতো মানুষই নন তার মক্কেল!
দাতব্য অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য বুধবার প্যারাগুয়ে পৌঁছে রাজধানী আসেনসিওনের কাছের এক হোটেলে উঠেছিলেন রোনালদিনহো ও তার ভাই। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী তারকার লাগেজ থেকে ভুয়া কাগজপত্র উদ্ধার করে প্যারাগুয়ে পুলিশ।
‘এটা একটা গুরুতর, শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কারণ এভাবে প্রবেশ করে রোনালদিনহো প্যারাগুয়ের স্বার্থ বিনষ্ট করেছেন।’ সাংবাদিকদের এমনই বলেছেন বিচারক ক্লারা রুইজ।
‘তিনি এখন ভ্রমণ ঝুঁকিতে আছেন। তার এই দেশে কোনো স্বজন নেই। তিনি এই দেশে এসেছেন অবৈধভাবে, থেকেছেন অবৈধভাবে।’
ব্রাজিলিয়ানদের প্যারাগুয়ে প্রবেশে কোনো পাসপোর্টের প্রয়োজন হয় না। তারপরও কেনো নকল পাসপোর্ট নিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেছেন সেটির কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি রোনালদিনহোরা। এমন দাবিও করেছেন, উপহার হিসেবে বিমানবন্দরে দুজনের হাতে এই পাসপোর্ট ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। তদন্তে বলা হয়েছে, ব্রাজিলিয়ান পাসপোর্ট দিয়েই সাওপাওলো বিমানবন্দর থেকে প্যারাগুয়ের বিমানে উঠেছিলেন দুজনে। নামার পর সেই পাসপোর্ট রেখে দেয়ার হয়েছে তাদের থেকে।
শুধু শুধু ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে তার মক্কেল বোকামি করেছেন বলে মনে করেন অ্যাডলফো মারিন। এতে কোনো দোষ দেখছেন না তিনি। দোষ করলেও সেটা মনের অজান্তেই হয়েছে বলে মনে করছেন এই আইনজীবী, ‘রোনালদিনহো জানতেন না যে তিনি অপরাধ করছেন। কারণ তিনি বোঝেননি তাকে ভুয়া কাগজপত্র দেয়া হয়েছে। তিনি একজন বেকুব! কিন্তু আদালত এটা বিশ্বাস করছে না।’