তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, রোজিনা ইসলাম যেন ন্যায়বিচার পান সেটা চেষ্টা করছি। মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়, তাই রোজিনা ইসলামও ভুল করতে পারে। বিষয়টি ইমোশনালি না দেখে বাস্তবতার ভিত্তিতে দেখতে হবে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের করা ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে ডিআরইউ নেতারা তথ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিতে গেলে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, সংগঠনগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।
গত সোমবার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু নথি সরানোর অভিযোগ এনে পুলিশ ডাকা হয়েছে। রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।
মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব ডাঃ মােঃ শিব্বির আহমেদ ওসমানী শাহবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তার অভিযোগটি মামলা আকারে রুজু করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, তাকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।