বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট খেলার আশরাফুলের(৬১ টেস্ট) রেকর্ড ছোঁয়ার দিনে দ্রুতই ক্রিজের দিকে হাঁটতে হল মুশফিকুর রহিমকে। ২২ গজে থাকাও হল না বেশিক্ষণ। কেমার রোচের তোপে আসলে টিকে থাকতে পারেনি পুরো টপঅর্ডারই।
স্কোরবোর্ডে ১৮ রান উঠতেই বাংলাদেশের ৫ জন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন। পরে খানিকক্ষণ টিকে থাকার পরীক্ষা দিয়ে ফিরে গেছেন লিটনও। দ্রুতই তাকে অনুসরণ করেন সোহান।
শুরুতে ১৬ রানে মধ্যে তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের উইকেট হারিয়ে বসা দলকে উদ্ধারের দায়িত্ব পড়েছির মুশফিকের কাঁধে। ব্যক্তিগত মাইলফলকের ম্যাচে উল্টো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। আউট হয়ে বাংলাদেশকে ফেলে দেন আরও চাপে।
সেই চাপ উতরে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন সাকিব, সেটিও রানের খাতা খোলার আগেই। কেমার রোচের ওই ওভারে উইকেট পড়ে তিনটি।
বাংলাদেশের প্রথম ৫ উইকেটের সবকটি নিয়েছেন ডানহাতি ফাস্ট বোলার রোচ। শুরুতে তামিম ৫, মুমিনুল ১ রানে ফেরেন। সাকিব-রিয়াদের মতো রানের খাতা খুলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহও। একপাশ আগলে রাখা লিটন ফিরেছেন ২৫ রানে। তাকে ফেরান কামিন্স। পরে সোহানকেও (৪) সাজঘরে পাঠান এ পেসার।
অ্যান্টিগায় হালকা ঘাসের উইকেট বলে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। বোলাররা আস্থার প্রতিদান দিয়ে যাচ্ছেন দুর্দান্তভাবে।