রমজান মাসে যে শুধু ধর্মীয় ব্যাপার রয়েছে তা নয়, এর কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারী দিকও রয়েছে। তাই রমজান শুধু আত্নশুদ্ধির জন্য নয়, শরীরকে সুস্থ রাখতেও জরুরী। রোজা রাখার স্বাস্থ্যগত উপকারগুলো হলো—
- রমযানে ওজন কমার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই কেউ যদি রমযানে অতিরিক্ত খাবার না খায়, বরং স্বাভাবিক খাবার খায়, তবে তার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রোজা ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। সাধারণত দেখা যায়, বেশি দিন ইনসুলিন নিতে নিতে তার কার্যকারিতা কমে যায়। তবে ফাস্টিং করলে বা উপবাস করলে এর কার্যকারিতা বাড়ে।
- রোজা রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পুরাতন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ভেঙ্গে, নতুন করে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে রোযা।
- ক্যানসার রোগীদের ক্ষেত্রে রোজা খুব উপকারী। বিশেষ করে যাদের কেমোথেরাপি নিতে হয়, তারা যদি কেমো নেওয়ার আগে তিন-চার দিন উপবাস করেন, তবে কেমোর রিঅ্যাকশনটা কম হবে। তাই তাদের ক্ষেত্রে শুধু রমযান মাসে নয়, এটা যে কোন সময়েই কার্যকরী।
- আমাদের শরীরে কিছু ক্ষতিকারক পদার্থ রয়েছে, যা সারা বছর অনেক বেশি খাবার খাওয়ার ফলে শরীর থেকে বের হতে পারে না। রোজা রাখার ফলে এই ক্ষতিকারক পদার্থগুলো সহজেই শরীর থেকে বের হওয়ার সুযোগ পায়।
- রোজার সময় তিন বেলার খাবারগুলো যদি একেবারে বেশি বেশি না খেয়ে একটু গ্যাপ দিয়ে খাওয়া হয়, তবে তা শরীরকে চাঙ্গা রাখবে। তবে খেয়েই ঘুমাতে যাওয়া ঠিক হবে না। ভারি খাবারের গ্যাপে লিকুইড জাতীয় খাবার খেয়ে শরির চাঙ্গা রাখতে হবে।
সর্বোপরি রোজায় যদি সব খাবার পরিমিত খাওয়া যায় এবং বাড়তি তেল চর্বি না খাওয়া হয়, তবে শরীর আপনা আপনি চাঙ্গা থাকবে এবং এর উপকারীতা দীর্ঘ সময় পাওয়া যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন : ডা. নয়নমনি সরকার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল