চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘রেমিটেন্স বাধাগ্রস্ত করতে বিদেশেও জঙ্গিবাদ চর্চা চলছে’

বৈদেশিক রেমিটেন্সকে বাধাগ্রস্ত করতেই মৌলবাদী গোষ্ঠী এবং জঙ্গি সংগঠনগুলো বিদেশের মাটিতেও তৎপরতা চালাচ্ছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, সিঙ্গাপুর সরকার তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই ২৭ বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারেরও উচিত বিষয়টিকে সিঙ্গাপুর সরকারের মতো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা। 

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৭ জন বাংলাদেশী শ্রমিককে আটক করে সিঙ্গাপুর পুলিশ। পরে ২৬ জনকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয় তারা।

গত বুধবার সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে আটক ২৭ বাংলাদেশীর ছবি প্রকাশ করে জানায়, ওই সকল শ্রমিকরা উগ্র মতাদর্শী সংঘবদ্ধ একটি গোষ্ঠীর পাঠচক্রে যুক্ত ছিলো।

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফেরত আসা শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ১৪ জনকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জিহাদী মতাদর্শকে প্রবাসীদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই এখন প্রধান টার্গেট জঙ্গি ও মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর। 

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল অব: মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের রাজনীতির বাক-বিতণ্ডার সঙ্গে কিন্তু জঙ্গিত্বের মাত্রা বাড়তে থাকে বা কমতে থাকে। তাই বোঝা যায় এরা আন্তর্জাতিক নয়, দেশীয় জঙ্গি। তাদের জিহাদী মতাদর্শে গড়ে তোলার যে পরিকল্পনাটা আমাদের জঙ্গি দলগুলো নিয়েছে এটি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত। 

তবে জঙ্গি সন্দেহে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশীর জন্য সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোনো টানাপোড়েন হবে না বলেও মনে করছেন এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

বলেন, সিঙ্গাপুর সমাজে যেটি হয়েছে এটি একটি র্যা ডিক্যালাইজেশন, মানুষকে ধর্মান্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করবে এমন যতগুলো কাজ রয়েছে সেসব তারা করতে দিতে চায় না। সেখানে আগে তারা চেষ্টা করেছে, তারপর এদেশকে জানিয়েছে। এদের দ্বারা অন্য দেশের ক্ষতি করাও খুব কষ্টের কাজ না। তাই তারা হয়তো এই ঘটনাকে তাদের নিরাপত্তার ব্যাঘাত মনে করেছে।

বিদেশী শ্রমিকরা যাতে মৌলবাদ গোষ্ঠীর বলির শিকার না হয় সেজন্য সরকারকে সজাগ থাকারও পরামর্শ নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের।