রেমিটেন্স প্রবাহ চলতি বছরের আগস্টে আগের চেয়ে বেড়েছে। এ সময়টায় ১ হাজার ৪১৮.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে। ২০১৬ সালের জুন মাসের পর এটি সবোর্চ্চ রেমিটেন্স প্রবাহ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বাসস’কে জানিয়েছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে কোনো উৎসবের আগে দেশে বেশি পরিমাণে রেমিটেন্স পাঠায়। পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আগে সাধারণত রেমিটেন্স একটু বেশিই আসে। এ বছরও সেটাই ঘটেছে।
তবে তিনি জানান, রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বৈধ চ্যানেলে দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করতে কিছু পদক্ষেপ নেয়ায় সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
ডেপুটি গভর্নর বলেন, কিছু অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে টাকা পাঠানোর অংশ হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর নজরদারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন দেয়। একই সঙ্গে অবৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠানোর কিছু মোবাইল নম্বর জব্দ করা হয়। অবৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠানোর কারণে ২০১৪-১৫ সালে দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে গিয়েছিল।
তবে পরে কিছু পদক্ষেপ নেয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হয় উল্লেখ করে তিনি জানান, আগস্ট মাসে ১ হাজার ৪১৮.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স বাংলাদেশে এসেছে। এর আগের বছর এ সময়ে দেশে রেমিটেন্স এসেছিল ২৩৪.৯৭ মিলিয়ন ডলার। আবার জুলাইয়ে দেশে রেমিটেন্স এসেছে ১ হাজার ১১৫.৫৭ মিলিয়ন ডলার এবং ২০১৬ সালের এ সময়ে এসেছিল ১১০.০৬ মিলিয়ন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে দেশে ১৫, হাজার ৩১৬.৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৬ সালে ১৪ হাজার ৯৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৭ সালে ১২ হাজার ৭৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল।
সাম্প্রতিক রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি পযার্য়ক্রমে রেমিটেন্স বাড়ার ইঙ্গিতই বহন করছে। এ বছরের রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
রাজী হাসান আরও বলেন, অবৈধ পথে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে টাকা পাঠানো বন্ধ করতে অবৈধ বিকাশ অথবা রকেট এজেন্ট বন্ধ করে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোকে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাবার কারণ উদঘাটনে মালয়েশিয়ায় দু’টি তদন্ত দল পাঠানো হয়। তদন্তে দেখা গেছে, প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে অবৈধ চ্যানেল ব্যবহার করছে।