বাংলাদেশে প্রবাসী আয় রেমিটেন্স পাঠানোর খরচ বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে কম, তবে সেটা আরো কমানো সম্ভব বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।
সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে লেনদেনের সর্বাধুনিক এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা আরটিজিএস জনপ্রিয় করা গেলে অবৈধ পথে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানো কমবে। বাংলাদেশ ব্যাংকও চাইছে পুরো লেনদেন প্রক্রিয়ায় নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে আনতে।
কোনো ধরনের চেক ছাড়াই এক হিসাব থেকে অন্য হিসাবে লেনদেনের তাৎক্ষণিক সুবিধা রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট আরটিজিএস চালু হয়েছে গত অক্টোবরে। গ্রাহক যাতে কাগুজে নোট ব্যবহার কমিয়ে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করেন সেই উদ্দেশ্যে সব এটিএম বুথ এবং পয়েন্ট অব সেলস পিওএস আন্ত:পরিচালনযোগ্য করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যবহারকারীদের এসব তথ্য জানাতেই বিভাগীয় শহরে রোড শোর আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জোয়াদ্দার বলেন, এখন থেকে আমরা যতো বেশি পারি ক্যাশলেস সোসাইটি হওয়ার চেষ্টা করবো। একটু ইলেকট্রনিক্স পেমেন্টে যাওয়ার চেষ্টা করবো।
আরেক নির্বাহী পরিচালক শুভকংর সাহা বলেন, আন্তঃব্যাংক লেনদেন দ্রুত ও ঝুঁকিমুক্ত করার লক্ষ্যে ২০১১ সাল থেকে ইলেকট্রনিক্স ট্রান্সফার ও ২০১২ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করা হয়েছে।
লেনদেন পদ্ধতি আধুনিক করে প্রবাসী আয় পাঠানোর খরচ কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি। এতে প্রতিষ্ঠান দুটি পক্ষে প্রতিনিধ হিসেবে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হারিষ নটরঞ্জন ও এডিবির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাজমুল আলম।
আরটিজিএস সম্পর্কে আগ্রহ ছিলো ব্যাংক কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীদের। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট আরটিজিএসসহ লেনদেন পদ্ধতির ব্যপারে মানুষকে সচেতন করতে ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরে রোড শো করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।