রেমা-কালেঙ্গা বনে আছে বিরল প্রজাতির বাংলা শকুন। শকুনের ৩৮টি পরিবারের জন্য রেমা-কালেঙ্গায় শকুনের ফিডিং ব্যবস্থা চালু করার পাশাপাশি রেমাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার। তবে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের দূর্গম রেমা-কালেঙ্গা বনে বাঘের দেখা মিললেও এখন তা শুধুই গল্প। বাঘের মত ভাল্লুক, শিংঘাল, হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী হারিয়ে গেছে এ বন থেকে।
সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার নদ-নদী-হাওড়-বাওড়, বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি বাংলাদেশের এক অমূল্য সৌন্দর্য্য বলে অপরূপ ওই সৌন্দর্য্য রক্ষায় বদ্ধপরিকর সরকার।
রেমা বিট কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, এই বিরল প্রজাতির শকুন সংরক্ষণে আমরা একটি দল তৈরি করেছি। এখানে আমরা প্রতিমাসে একটি করে মৃত গরু দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন পর্যন্ত ৩টি গরু দেওয়া হয়েছে।
গাছ রক্ষায় বনের মধ্যে থাকা বিভিন্ন আদিবাড়িকে বন রক্ষাকারীদের সহায়তায় কাজে লাগাচ্ছে সরকার। বন রক্ষার বিনিময়ে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দেওয়া হয়েছে ধান চাষের জমি।
উদ্ভিদ ও প্রাণীসম্পদ রক্ষায় সিলেট শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে সরকারী অর্থায়নে গড়ে তোলা হচ্ছে টিলাগড় ইকো পার্ক। অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান থাকায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রটি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে উঠেছে।
সিলেটের পাশের জেলা মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থান লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের। বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রমের পাশাপাশি অসুস্থ বন্যপ্রাণীদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে।
মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মোঃ সায়িদ আলী বলেন, আমরা এখানে বন্য প্রাণীদের চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতাল ও একটি রেসকিউসেন্টার স্থাপন করেছি। এখানে বিভিন্ন কারণে আহত ও অসুস্থ প্রাণীদের চিকিৎসা করে থাকি। রক্ষণাবেক্ষণ করে পরে আবার বনে ছেড়ে দিচ্ছি।
শুধু বন্যপ্রাণী নয়, পরিবেশ এবং প্রতিবেশ রক্ষায় এরকম বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এসব ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ এবার জাতিসংঘের চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।