২০০৬ বিশ্বকাপের কথা উঠলেই সামনে আসে জিদানের ঢুসকাণ্ড। সেদিন কী ঘটেছিল, ঘটনার কতটুকু দেখেছিলেন রেফারি, তা নিজেই জানিয়েছেন ফাইনালের ম্যাচ পরিচালনা করা হোরেসিও এলিজোন্ডো।
আর্জেন্টিনার এই রেফারি বলছেন তিনি সেদিন জিদানকে ঢুস মারতে দেখেননি। শুধু দেখেছিলেন মার্কো মাতেরাজ্জি মাটিতে পড়ে আছেন। তাকে বিষয়টি অবহিত করেন চতুর্থ রেফারি স্প্যানিশ লুইস মেডিনা।
‘দেখি মাতেরাজ্জি মাটিতে পড়ে আছে। আমার থেকে ৩০/৪০ মিটার দূরে। তাই খেলা থামিয়েছিলাম,’ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হোরেসিও এলিজোন্ডো বলেন, ‘আমি ভাবলাম কী হল? দ্রুত ইন্টারকমে সহকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। অবাক করার বিষয় হলো, প্রথমে সেও জানায় কিছুই দেখেনি।’
কিছুক্ষণ পর ভিডিও দেখে চতুর্থ রেফারি বলতে থাকেন, ‘হোরেসিও, হোরেসিও জিদান মাথা দিয়ে মাতেরাজ্জিকে ধাক্কা মেরেছে। তুমি দেখলে এটা বিশ্বাসই করতে পারবে না।’
হোরেসিও এলিজোন্ডো জানান, এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন জিদানকে লালকার্ড দেখানোর। কারণ ততক্ষণে ঘটনাটি তিনি বুঝে ফেলেন।
ওই ম্যাচটি পরে পেনাল্টি শ্যুটআউটে গড়ায়। ইতালির বিপক্ষে হেরে যায় ফ্রান্স।
পরে জিদান মুখ খোলেন। তিনি জানান, মাতেরাজ্জি সেদিন তার মা-বোনকে তুলে গালি দিয়েছিলেন। যার কারণে তিনি তাকে ধাক্কা মারেন।
ওই ধাক্কার আগেও জিদানের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় মাতেরাজ্জির। বল দখলের লড়াইয়ে একবার জিদানের জার্সি টেনে ধরেন তিনি। তখন জিদান তাকে ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘এটা (জার্সি) পেতে হলে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হবে।’