চট্টগ্রাম থেকে: এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়ার অপেক্ষায় বসুন্ধরা কিংস। এমন সময় দলটির বিপক্ষে পরপর দুই মিনিটে দুবার পেনাল্টির বাঁশি বাজালেন নেপালি রেফারি সুদিশ কুমার পান্ডে। তেরেঙ্গানু এফসি অধিনায়ক লি টাকের ছন্দে থাকার ম্যাচে বসুন্ধরা পাকিয়ে ফেলল তালগোল। শুরুতে এগিয়ে থেকেও ৪-২ গোলে হেরে বিদায় নিল শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের গ্রুপপর্ব থেকে।
নিজেদের প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে এভাবে বিদায় নেয়ায় বেশ হতাশাই ঝরল বসুন্ধরার ভারপ্রাপ্ত কোচ মাহাবুব হোসেন রক্সির। প্রশ্ন তুললেন রেফারিংয়ের মান নিয়েও। তার দাবি, ৪৪ মিনিটে দেয়া রেফারির প্রথম পেনাল্টির সিদ্ধান্ত মোটেও যুক্তিযুক্ত ছিল না।
‘রেফারির মান ভালো ছিল না। আমাকে হতাশ করেছে। প্রথম পেনাল্টিটা হওয়ার মতই না। এরপর আমরা দ্বিতীয়ার্ধেও ভালো শুরু করেছিলাম। কিন্তু আমাদের ভাগ্য খারাপ।’
শুরুতে এগিয়ে থাকার পরও চারগোল হজম করায় বসুন্ধরার রক্ষণভাগ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। জাতীয় দলে খেলা ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ, ইয়াসিন খানদের সঙ্গে কিরগিজ বখতিয়ার দুশানবের সমন্বয়ের অভাব চোখে পড়েছে বেশ। বিশেষ করে ভারত ম্যাচে চমক জাগানো ডিফেন্ডার ইয়াসিনকে খুঁজতে হয়েছে তার জার্সি নাম্বার দেখে।
টুর্নামেন্টের মাত্র তিনদিন আগে পুরো দলকে একসাথে পাওয়ায় ঠিকভাবে অনুশীলন করতে না পারাকেই দায় দিলেন হেড কোচ অস্কার ব্রুজেনের জায়গায় তেরেঙ্গানু ম্যাচে কোচের দায়িত্বে থাকা রক্সি। মাঝমাঠে হোল্ডিং মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনির অভাবটাও তাদের ভুগিয়েছে বলে জানালেন।
‘মাসুক মিয়া জনি হচ্ছে বাংলাদেশের সেরা হোল্ডিং মিডফিল্ডার। তার কোনো বিকল্প নাই। আমরা আতিকুর রহমান ফাহাদের জন্য সুযোগ রেখেছিলাম। কিন্তু সেও চোটের কারণে বাইরে চলে গেছে। বখতিয়ার আক্রমণাত্মক ফুটবলার। তাকে আমরা রক্ষণে খেলিয়েছি। আসলে আমাদের এখনো খেলোয়াড় নেই।’
শেখ কামাল টুর্নামেন্টকে পরীক্ষামূলক হিসেবে ধরে এএফসি কাপের আগেই দল গুছিয়ে উঠতে চায় বসুন্ধরা। সেজন্য প্রয়োজনে আরও উন্নত মানের বিদেশি খেলোয়াড় দলে আসতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত কোচ।