আর একটা উইকেট হলেই চলতো। তাতে ভেঙে ফেলতেন সাকিব আল হাসানের এক বিপিএলে সর্বোচ্চ ২২ উইকেটের রেকর্ড। কিন্তু কীর্তির সামনে তাসকিন আহমেদের জন্য বাঁধার মহাপ্রাচীর হয়ে দাঁড়াল পুরনো শত্রু চোট। ম্যাচ শেষ না করেই মাথায় হাত দিয়ে বেরিয়ে যেতে হল একসময়, এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ডানহাতি পেসারকে।
শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করছিলেন তাসকিন। নবম ওভারের চতুর্থ বলের ঘটনা, অলোক কাপালির বলে ছক্কা হাঁকান চিটাগং ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন। বলের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বাউন্ডারি দড়ির সঙ্গে জড়িয়ে যায় তাসকিনের বাঁ-পা। তাতেই ঘটে বিপত্তি!
দড়ির সঙ্গে পা পেঁচিয়ে যাওয়ায় মাটিতে পড়ে যান তাসকিন। চোট পান গোড়ালিতে। টিভি স্ক্রিনেই বোঝা যাচ্ছিল, বড় রকমের চোটেই পড়তে চলেছেন চলতি বিপিএলের ২২ উইকেট শিকারি পেসার।
চোটের অবস্থা কতটা গুরুতর জানতে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নেয়া হয় তাসকিনকে। বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, চোট কতটা সেটি বোঝা যাবে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর।
অথচ কী দারুণ শুরুই না ছিল তাসকিনের! খারাপ সময় পেছনে ফেলে দারুণ সময় কাটছিল। ষষ্ঠ বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করে ডাক পান নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে ও টেস্ট দলে।
ম্যাচেও ছিলেন দুরন্ত। প্রথমে ব্যাট করে ব্যাটসম্যানরা এনে দিয়েছে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি। সেই পুঁজির ওপর দাঁড়িয়ে বল হাতে শুরুতেই তুলে নেন উইকেট। ম্যাচের আগে নামের পাশে ছিল ২১ উইকেট। ইনিংসের তৃতীয় বলে মোহাম্মদ আশরাফুলকে ফিরিয়ে ছুঁয়ে ফেলেন সাকিবের রেকর্ড।
গত আসরে ১৫ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির রেকর্ড ঢাকা অধিনায়ক সাকিবের। এবার ১২ ম্যাচেই সেই কীর্তি ছুঁয়ে ফেললেন তাসকিন। চোটে পড়ার আগে দুই ওভারে ১০ রান দিয়েছিলেন। হাতে ছিল আরও দুই ওভার। চোটে না পড়লে হয়তো কেবল রেকর্ড ছোঁয়াই নয়, নতুন রেকর্ডই গড়ে ফেলতেন।
চোটে বিপত্তি ঘটলেও তাসকিনকে হতাশ হতে দেয়নি সিলেট সিক্সার্স। নিজেদের ১৬৫ রানের বিপরীতে চিটাগংকে ১৩৬ রানে থামিয়ে দিয়ে ২৯ রানের সান্ত্বনার এক জয় তুলে নিয়েছে সুরমা পাড়ের দলটি।
তাসকিনের অনুপস্থিতিতে বল হাতে সিলেটকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবাদত হোসেন। ১৭ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন এ পেসার।