ক্ষেত থেকে খাবারের টেবিল পর্যন্ত ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, চাহিদা এবং উৎপাদনের তথ্য-উপাত্তে বিভ্রাট এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সংকট বলে মনে করছেন কৃষিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক।
বিশ্ব খাদ্য দিবসের সংবাদ সম্মেলনে পেঁয়াজ এবং চালের বাড়তি দাম নিয়ে এমন মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, রেকর্ড উৎপাদনের পরও এসব কারণে বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি সফলতা আসছে না।
বিশ্ব খাদ্য দিবস, ১৬ অক্টোবর, শনিবার। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও এর যাত্রা শুরুও এদিন, ১৯৪৫ সালে। দেড়শটি দেশে পালিত হবে দিবসটি। এবারের প্রতিপাদ্য ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ-ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি, আর ভালো পরিবেশেই উন্নত জীবন’। মাঠে শস্য উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারে নিয়ে আসা, বাজার থেকে খাবারের প্লেট পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় সবাইকে দায়িত্বশীল ভোক্তা হওয়ার আহ্বান এফএও আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসনের।
খামারবাড়ীর কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে খাদ্য দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেন করোনাকালেও সব ফসল উৎপাদন বেড়েছে। চালের উৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৮৬ লাখ টন, গম ১২ লাখ টন, ভুট্টা ৫৭ লাখ টন, আলু ১ কোটি ৬ লাখ টন, শাকসবজি ১ কোটি ৯৭ লাখ টন, তেল ফসল ১২ লাখ টন এবং ডাল ৯ লাখ টন। তারপরও বাজারে অস্থিরতা কেন প্রশ্ন ছিলো মন্ত্রীর কাছে।
তার আশা আর কয়েক বছরের মধ্যে চালের মতো মাংস, দুধ, ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বাংলাদেশ।
শনিবার খাদ্য দিবসে ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি থাকবেন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।