পাহাড়ে ঘেরা স্বচ্ছ জলরাশি। সেখানেই বিলাসবহুল এক রিসোর্টের সামনে ফুল দিয়ে সাজানো বিয়ের আসর। ধবধবে সাদা গাউন পরে রাজকন্যা উপস্থিত। কালো স্যুট পরা রাজপুত্রের হাঁটু গেঁড়ে বসে স্বপ্নের রাজকন্যাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়া। সব মিলিয়ে টলিউড তারকা নুসরাত জাহানের বিয়েটা ছিল রূপকথার গল্পের মতো।
নুসরাত নিজেও তার বিয়েটাকে রূপকথার বিয়ে বলছেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘রূপকথার চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না আমার বিয়ে। সবই সৃষ্টিকর্তার দয়া। আমার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সব করতে রাজি, এমন একজন মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমি ভীষণ খুশি।’
নুসরাত যে বিয়ে করে দারুণ খুশি তা অবশ্য তার ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায়। প্রতিটি ছবিতেও নুসরাত-নিখিল জুটিকে ঝলমলে দেখাচ্ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ছবি নিজেরাই শেয়ার করেছেন তারা।
শনিবার রাতে এই জুটির কলকাতা ফেরার কথা। কাছের এক সূত্র জানিয়েছে নুসরাত-নিখিল ফিরে আসার আগেই তাদের বাড়িটি সুন্দর করে সাজানো হবে। আর যদি তারা ফেরার আগে বাড়ি গুছানো শেষ না হয়, তাহলে এই দম্পতি আপাতত নিখিলের আলিপুরের ফ্ল্যাটে উঠবেন। এরপর সব গুছিয়ে নতুন বাড়িতে সংসার শুরু করবেন। আর নব নির্বাচিত এমপি নুসরাতের ব্রড স্ট্রিটের ফ্ল্যাটটিক অফিস স্পেস হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
১৯ জুন কলকাতার ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারকা ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোকসভার নবনির্বাচিত সদস্য নুসরাত জাহান। বুধবার তুরস্কের বোদরুম শহরে ‘সিক্স সেন্সেস কাপালায়াঙ্কা’য় জমকালো বিয়ের আয়োজন করা হয় তাদের। বিয়েতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাছের বন্ধুরা ও আত্মীয়রা। এরপর ২০ জুন তুরস্কের হোটেল কাপালাঙ্কায়াতে আয়োজন করা হয় ‘হোয়াইট ওয়েডিং’-এর।
দেশে ফিরে ২৫ জুনের পরে আইনি মতে বিয়ে সারবেন নুসরাত-নিখিল। নুসরাত জাহান ও নিখিল জৈনের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে আগামী ৪ জুলাই, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়, কলকাতায় আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গল-এ।