রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনায় ওই পদ্ধতি বাতিলের আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা খুশি হলেও লিখিত না দিলে, তারা তা মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন।
একাডেমিক কাউন্সিলের আশ্বাস লিখিতভাবে পাওয়ার দাবিতে এখনো বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শনিবার দুপুর থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত উপাচার্য রফিকুল আলম বেগসহ মোট ১৬ জন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসে।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রশাসন থেকে দাবি মেনে নেয়ার বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা মৌখিক আশ্বাসে বিশ্বাসী নন বলে জানান। লিখিতভাবে না জানানো পর্যন্ত শিক্ষকদের বের না হতে দেয়ার কথাও বলেন তারা।
এ ব্যাপারে এখনো একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে।
এর আগে আন্দোলন থামাতে ৩১ জানুয়ারি রুয়েট প্রশাসন ১৪ ও ১৫ সিরিজের শিক্ষার্থীদের সব একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দেয়। পরের দিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৩৩ ক্রেডিট পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যায় পড়বেন। বিশেষ করে রুয়েটে ক্লাস-ল্যাবের সংকট থাকায় যারা ক্রেডিট অর্জন করতে পারবেন না। তাদের অন্য ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস বা ল্যাবে থাকতে হবে। এছাড়া কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ বা অন্য কোনো সমস্যার কারণে পরীক্ষা দিতে না পারলে তার এক বছরের বেশি সময় ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।