ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব শেখ রাসেল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট একাডেমির ম্যানেজারের কাছে দেড় বছর আগের পাওনা টাকা চাওয়ায় গালিগালাজ শুনতে হয়েছে নারী দলের ওয়ানডে অধিনায়ক রুমানা আহমেদকে। বিষয়টি কানে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। বিসিবি কার্যালয়ে মঙ্গলবারের সভায় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে উঠেছিল রুমানা প্রসঙ্গও।
পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি নাজমুল হাসান এ ব্যাপারে বলেন, ‘সবকিছুর একটা নিয়ম আছে। আমাকে আজ জানানো হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর বিসিবি থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমরা যতটুক জানি এটা সুরাহা হয়ে যাচ্ছে। ক্লাবের সাথে যোগাযোগ হয়েছে, খেলোয়াড়ের সাথেও হয়েছে। আজকেই আমি শুনলাম, এটা শিগগিরই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।’
শেখ রাসেল ক্লাবের ম্যানজোর জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিসিবির কাছে ২৫ সেপ্টেম্বর চিঠি দেন রুমানা। পরে জাকির ও ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বোর্ড।
ক্লাব কর্মকর্তাদের অনেক গড়িমসির পর লকডাউনের সময় মুঠোফোনে টাকা পরিশোধের জোর দাবি তোলায় টাইগ্রেস অধিনায়ককে অপমানের শিকার হতে হয়। তাকে হুমকিও দেওয়া হয়। বলা হয়, ক্লাব ও তাদের নিজেদের অনেক ক্ষমতা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ‘অপমানিত’ রুমানা বিসিবির শরণাপন্ন শিরোনামে চ্যানেল আই অনলাইনে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে।
রুমানার অভিযোগ, অর্ধেক টাকা দেওয়ার পর লিগ শেষে আর খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি ক্লাব অফিসিয়ালরা। স্থানীয় সব খেলোয়াড় মিলে পাওনা টাকার অংকটা অন্তত দশ লক্ষ। যার মধ্যে রুমানার একার পাওনাই তিন লাখ।
প্রায় এক দশক ধরে অলরাউন্ডার হিসেবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে প্রতিনিধিত্ব করছেন রুমানা। কয়েক বছর ধরে ওয়ানডে অধিনায়কও তিনি। এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এমন বাজে পরিস্থিতির সম্মুখীন আগে কখনো হতে হয়নি এ ক্রিকেটারকে।
শুধু বকেয়া পাওনা আদায়ই নয় ফোনে বাজে ভাষা ব্যবহারের জন্য ক্লাব ম্যানেজার জাকিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রত্যাশা করছেন রুমানা।