দলীয় ব্যর্থতার জেরে ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন জো রুট। তার পরিবর্তে কে হবেন সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ইংলিশদের পরবর্তী অধিনায়ক, তা নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে আলোচনা।
আপাতত আলোচনায় রয়েছে চারজনের নাম। তারা হলেন- বেন স্টোকস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে বাদ পড়া স্টুয়ার্ট ব্রড, জনি বেয়ারস্টো এবং জেমস অ্যান্ডারসন।
সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার মাইকেল ভন সহ-অধিনায়ক বেন স্টোকসই যেন অধিনায়কের দায়িত্ব পান সেটিই চাইছেন। যদিও এক্ষেত্রে স্টোকসের সমর্থন প্রয়োজন হবে বলেও ভন উল্লেখ করেন।
‘আমি অন্য কাউকে দেখছি না যে (অধিনায়কের) জায়গা নিতে পারে এবং দলে তাদের জায়গা নিশ্চিত করতে পারে। বেন স্টোকস এমন একজন বুদ্ধিমান ক্রিকেট মস্তিষ্কের অধিকারী, যাকে আপনি পেয়েছেন। তিনি সবকিছুই দিতে যাচ্ছেন। তিনি অবশ্যই তার চারপাশের খেলোয়াড়দের সম্মান করবেন।’
গত বছরের জুলাইতে মানসিক অবসাদের কারণে ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন স্টোকস। অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে তিনি আবারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন। মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর চলাকালীন বাম হাঁটুতে ব্যথায় ভোগা স্টোকস অবশ্য আগামী মাসে ঘরোয়া ক্রিকেটে ডারহামের হয়ে ফিরবেন।
৩০ বছর বয়সী স্টোকসের ইংল্যান্ডের হয়ে নেতৃত্ব দেয়ার অতীত অভিজ্ঞতাটা ভালোই ছিল। গত বছর ঘরের মাঠে তার নেতৃত্বে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে থ্রি লায়নরা। সেটি সীমিত ওভারের ক্রিকেট হলেও ভন এটিকেই দৃষ্টান্ত হিসেবে মানতে চান।
‘আমরা যেমনটা জানি তিনি যদি সেরকম পারফর্ম করেন, তাহলে তিনি দলকে দৃষ্টান্তমূলক নেতৃত্ব দেবেন।’
স্টোকসের অধিনায়ক হওয়ার পক্ষে আরও মত দিয়েছেন সাবেক দুই ইংলিশ ক্রিকেটার মাইক আথারটন ও নাসির হুসেইন। তবে স্বল্প মেয়াদের জন্য স্টুয়ার্ট ব্রডকেও ভাবনায় আনতে হচ্ছে।
ব্রডের ক্রিকেট মস্তিষ্ক কতটা ধারালো তা অনেকেরই জানা। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন চরিত্রের পাশাপাশি তিনি প্রতিযোগী হিসেবেও দক্ষ। সাবেক ইংলিশ ব্যাটার নিক কম্পটন তাই ব্রডকেই টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে চাইছেন। স্টোকসকে তিনি ভবিষ্যতে নেতা হিসেবে চান।
ভবিষ্যৎ টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে স্টোকস ও ব্রডের সঙ্গে উইকেটরক্ষক ব্যাটার বেয়ারস্টো নামও শোনা যাচ্ছে। স্কোয়াডে থাকার জন্য একসময় তাকে লড়াই করতে হয়েছে। এক্ষেত্রে তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জস বাটলারের দেখা মিলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে গ্লাভস হাতে অলি পোপের উত্থান হলেও ব্যাটার বেয়ারস্টো তার কার্যকারিতা প্রমাণ করছেন। গত অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টেও হাঁকিয়েছিলেন শতক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল থেকে বাদ পড়া জেমস অ্যান্ডারসনও রুটের পর টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে। ইংল্যান্ডের হয়ে ১৬৯ টেস্টে ৬৪০ উইকেট নেওয়া ৩৯ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বাধিক উইকেট শিকারি। বয়স চল্লিশ ছুঁইছুঁই হলেও কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে পারফর্ম করে ইংল্যান্ড দলে ফিরতে বদ্ধপরিকর অ্যান্ডারসন। ব্রডের মতো স্বল্প মেয়াদের জন্য তাকেও ভাবতে পারে ইসিবি।