লেভান্তের বিপক্ষে জয়ের পর সেভিয়াকে টপকে আবারো লা লিগার টেবিলের দুইয়ে উঠেছে বার্সেলোনা। যদিও শিরোপা জয়ের দৌড়ে তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ঢের পিছিয়ে রয়েছে। ৩১ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। সমান ম্যাচে তাদের চেয়ে ১২ পয়েন্ট পেছনে বার্সা।
চলতি মৌসুমে শিরোপা জয় যে বেশ কঠিন, সেই বাস্তবতা মানছেন জাভি হার্নান্দেজ। বার্সার সাবেক এই ফুটবলার অবশ্য রিয়াল হারলে নিজেদের ডার্ক হর্স হওয়ার সম্ভাবনার কথাও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলেছেন।
রিয়ালকে ধরার সুযোগ আছে কি না, জানতে চাওয়া হলে জাভি বলেন, ‘আমাদের গতিশীলতা খুব ইতিবাচক এবং আমাদের তা চালিয়ে যেতে হবে। এটা খুবই কঠিন। কারণ রিয়াল মাদ্রিদ খুব কমই পিছলে যায়।’
‘‘তাদের কঠিন খেলা আছে এবং আমাদেরও। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে যদি তারা কয়েক পয়েন্ট কমিয়ে দেয় তবে আমরা আরও কিছুটা বিশ্বাস করতে শুরু করতে পারি।’’
রোববার রাতে লেভান্তের মাঠে হওয়া ম্যাচে প্রতিপক্ষকে তিনটি পেনাল্টি দিয়েছিল বার্সেলোনা। দুটিতে সফল হলেও একটি প্রতিহত করেন মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান। শেষ মুহূর্তে লুক ডি জংয়ের অসাধারণ হেডে রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতে বার্সা।
ম্যাচ নিয়ে জাভির ভাষ্য, ‘তিনটি পেনাল্টি দিয়েও আমরা জিতেছি। এটি প্রমাণ করে যে আমরা খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং আমাদের জয়ের মানসিকতা আছে।’
‘‘আমি এই খেলাটি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। কারণ লেভান্তে দুর্দান্ত খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া একটি কঠিন দল। তারা ভিলারিয়াল এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মতো দলকে হারিয়েছে। আমরা তিনটি গোল্ডেন পয়েন্ট অর্জন করেছি, যা আমাদের লড়াইয়ে রেখেছে।’’
মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগানের পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে দেয়া ও নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে অসাধারণ হেডে গোল করে বার্সার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন লুক ডি জং। এই দুই খেলোয়াড়কে নিয়ে আলাদাভাবেই প্রশংসা করেন কাতালান ক্লাবটির কোচ।
‘আমাদের একজন দুর্দান্ত গোলরক্ষক এবং একজন দুর্দান্ত স্ট্রাইকার রয়েছে। তারা দুর্দান্ত চেষ্টা করেছে। লুকের (ডি জং) কাজ আমাদের অনেক কিছু দিচ্ছে। তিনি একজন দারুণ পেশাদার এবং এটি (গোল) তার প্রাপ্য।’
গত বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে বুন্দেসলিগার ক্লাব ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে হোঁচট খায় বার্সেলোনা। মাঝে কেবল দুইদিন বিরতির পর আবারো মাঠে নামাটা মোটেও সহজ ছিল না বলেই জাভি জানান।
‘প্রথমার্ধ মোটেও ভালো ছিল না। দলকে মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্লান্ত দেখাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার খেলা এখনও আমাদের ভারসাম্যহীন করে রেখেছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেক ভালো ছিলাম।’