ম্যাচের বাকি মাত্র ৪ মিনিট। ১-১ গোলে সমতায় থাকা খেলা যখন গড়াচ্ছে অমীমাংসিত ফলাফলের দিকে, তখনই রিয়ালের ত্রাণকর্তা হয়ে এগিয়ে এলেন মার্সেলো। ৮৬ মিনিটে এই ব্রাজিলিয়ানের চোখজুড়ানো গোলেই ভ্যালেন্সিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
শনিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে লস ব্লাঙ্কোসদের শুরুটা ছিল দারুণ। ম্যাচের ২৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। গোলদাতা আর কেউ নন, রোনালদো। ডান প্রান্ত থেকে দানি কারবাহালের সুযোগ-সন্ধানী পাস রোনালদোকে খুঁজে পেলে সহজেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
একে তো প্রতিপক্ষের মাঠ; তারপর এক গোলে পিছিয়ে থাকা। গোল খেয়েই রক্ষণাত্মক হয়ে যায় ভ্যালেন্সিয়া। একের পর এক আক্রমণেও প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের গোল মুখ খুলতে পারেনি রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক ডিয়েগো আলভেজের হাতে তুলে দেন রোনালদো। ভ্যালেন্সিয়ার ডিফেন্ডার দানি পারিজিও স্বাগতিকদের লুকা মদরিচকে ডি-বক্সে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় রিয়াল। পেনাল্টি স্পেশালিষ্ট নামে খ্যাত ডিয়েগো আলভেজ হতাশ করেন সিআরসেভেনকে। এই পেনাল্টি ঠেকিয়ে লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি সেভের অনন্য রেকর্ড গড়েন আলভেজ।
ম্যাচ শেষ হওয়ার আট মিনিট আগে হোঁচট খায় স্বাগতিক রিয়াল। ২৫ গজ দূর থেকে শট নিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে স্তব্ধ করে দেন দানি পারিজিও।
ম্যাচে কি হোঁচট খাবে রিয়াল? এমন শঙ্কায় স্বাগতিক দর্শকরা যখন কাঁপছে, তখনই মার্সেলোর সেই গোল। বক্সের ডান কোণা দিয়ে মোরাতা তাকে বল ছাড়েন। বল রিসিভ করেই চকিত শটে জালে জড়ান। উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো গ্যালারি।
এই জয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে টপকে আবার শীর্ষস্থান ফিরে পেল রিয়াল। ৩৪ ম্যাচে ৮১ পয়েন্ট এখন লস ব্লাঙ্কোসদের। রাতের অন্য ম্যাচে বার্সা যদি জয় পায়, তবে ফের দ্বিতীয় স্থানে নেমে যাবে রিয়াল।