ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসি একদলে! সম্ভব? ভিডিও গেমস ছাড়া দুজনকে একই দলে খেলানো, এমন কেবল স্বপ্নেই ভাবতে পারেন ফুটবলপ্রেমীরা। ২০১৯-২০ মৌসুমে যখন বার্সা ছাড়তে চাইলেন মেসি, জুভেন্টাসও খানিক চেষ্টা করে দেখেছে, যদি রাজি করানো যায় আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে। অল্প চেষ্টাতেই ইতালিয়ান ক্লাবটি বুঝে গেছে, অলীকস্বপ্ন কখনো পূরণ হওয়ার নয়। একসঙ্গে খেলার চেয়ে, একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হতেই বরং বেশি উপভোগ করেন মেসি-রোনালদো।
ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ স্বপ্নকে মগজে রেখে দিতে চাননি। একের পর এক তারকা দলে টেনে রিয়াল মাদ্রিদকে নক্ষত্র আলোয় ভরিয়ে তোলা সভাপতি চেয়েছিলেন সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ঝলমল করে উঠুক আরও দুই মহাতারকার আলোয়। সেজন্য রোনালদোর পাশে মেসিকে খেলাতে টাকার বস্তা নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন রিয়াল সভাপতি।
ইতালিয়ান সাংবাদিক জিয়ানলুকা ডি মারজিও বলছেন, পেপ গার্দিওলার বিদায়ের পর ২০১৩ সালে খানিকটা নড়বড়ে অবস্থায় ছিল বার্সার পারফরম্যান্স। সুযোগে মেসির জন্য ২৫০ মিলিয়ন ইউরোর আকাশছোঁয়া দলবদলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পেরেজ। নিজের লেখা বই ‘গ্র্যান্ড হোটেল কালসিওমেরাকাতো’তে ডি মারজিও লিখেছেন, মেসি রাজি হলেই বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার হওয়ার অসাধারণ সুযোগ ছিল তার।
ডি মারজিও লিখেছেন, ‘নিজেদের স্টেডিয়াম সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে পুনর্গঠন করার জন্য ২৫০ মিলিয়ন ইউরো রেখেছিলেন পেরেজ। সেই টাকা দিয়েই মেসিকে আনতে চেয়েছিলেন।’
‘মেসির উত্তর ছিল বেশ কঠিন। তিনি সোজা বলে দিয়েছিলেন, রিয়ালে যাচ্ছি না। আপনারা শুধু শুধুই সময় নষ্ট করছেন।’
শুধু ডি মারজিও একাই এমন বলেছেন, তা কিন্তু নয়। ২০১৮ সালে ফুটবল লিকসেও বলা হয়েছিল মেসিকে পাওয়ার জন্য একবার জোর চেষ্টা করেছিল রিয়াল, আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের ইচ্ছার কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি।
শুধু রিয়ালই নয়, মেসির ক্যারিয়ারের শুরু থেকে চেলসি, পিএসজি, ম্যানসিটির মতো ক্লাবগুলো ছয়বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী মহাতারকার পেছনে ছুটছে। যেকোনো মূল্যে তাকে দলে চান এমন কথা বেশ কয়েকবার বলতে শোনা গেছে ইন্টার মিলান সভাপতি মাসিমো মোরাত্তিকে। বার্সা বাধা হয়ে না দাঁড়ালে হয়ত চলতি মৌসুমে ম্যানসিটির জার্সি গায়েই দেখা যেত এলএম টেনকে।