ড্রেসিংরুমের কাঁচের ওপারে মলিন একটা মুখ। মাঠে লড়ছে আরেকটা দেহ। দুজনে দুজনের আত্মীয়। একজন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করার পর পঞ্চমদিন দলকে বিপদে রেখে ফিরেছেন। আরেকজন অর্ধশতক তুলে নিয়ে সাব্বিরের সঙ্গে লাঞ্চে গেছেন। মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
রিয়াদ এদিন অর্ধশতকে পৌঁছান ১১৫ বলে। বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০২। দিনের খেলা বাকী ৫৮ ওভার। রিয়াদ টানা ১০ ইনিংস পর অর্ধশতকের দেখা পেলেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬৭ রান করেছিলেন। বাকিগুলোতে আউট হয়েছেন ১০ থেকে ৪০’র ভেতর।
কোহলি পঞ্চমদিন সকালেও শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজান। লেগ-অফ দুই শর্টে চারজনকে রেখে জাদেজাকে দিয়ে দিন শুরু করান। ওই ওভারটা পার করলেও জাদেজার পরের ওভারে থাকতে পারেননি সাকিব (২২)। মাত্র এক রান যোগ করে ফিরে যান। পরে তাকে অনুসরণ করেন মুশফিক। ব্যক্তিগত ২৩ রানে অশ্বিনের বলে উইকেট ছুঁড়ে আসেন অধিনায়ক। রোববার প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসা রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে উড়িয়ে খেলার চেষ্টায় মিডঅফে রবীন্দ্র জাদেজাকে সহজ ক্যাচ দেন তিনি।
সকাল থেকে স্পিনাররা বেশ টার্ন পাচ্ছেন। সাকিব যে বলে আউট হয়েছেন তাতে বিশেষ কিছু করার ছিল সামান্যই। অফসাইডে পিচ করে চকিতে ভেতরে ঢোকে বল। ‘বিভ্রান্ত’ সাকিব নিচু করে ব্যাট দেন। বল লাগে গ্লাভসে। তারপর থাই ছুঁয়ে লেগ স্লিপে।
হাতে ৭ উইকেট আর একটা দিন। টার্গেট ৩৫৬। এমন সমীকরণ সামনে রেখে সকাল শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে সাকিব-মুশফিককে হারিয়ে কতটা পথ পার হওয়া যাবে তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
এর আগে ভারত প্রথম ইনিংসে ৬৮৭ রান তোলার পর ‘ডিক্লেয়ার’ করে। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। পরে সাকিব-মুশফিক ১০৭ রানের জুটি গড়লে কিছুটা স্বস্তি ফেরে। এরপর মিরাজকে নিয়ে টাইগার দলপতি নিরাপদে দিন পার করেন। কিন্তু চতুর্থ দিন সেই ছন্দ আর ধরে রাখতে পারেননি।
শনিবার শেষ বিকেলে দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম (৩) দলীয় ১১ রানে ফিরে যান। সৌম্য ব্যক্তিগত ৪২ রানে বিদায় নেয়ার সময় দলকে রেখে যান ৭১ রানে। যেভাবে খেলছিলেন তাতে দিন পার করা অসম্ভব মনে হচ্ছিল না। কিন্তু ‘ক্ষণিকের ভুলে’ বিপদে পড়েন। মুমিনুলও (২৭) অশ্বিনের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। একটি বল ব্যাকফুটে খেলতে যেয়েই শর্ট স্লিপে ধরা পড়েন। সাকিব ২২ ও মুশফিক থেমেছেন ২৩ রানে।