ছাই উড়িয়ে অমূল্য রত্ন আজকাল তেমন না মিললেও বাতিল ইলেকট্রনিক পণ্যের বিষয়টি ভিন্ন। জাতিসংঘ পরিচালিত ইউএন ইউনিভার্সিটির এক প্রতিবেদনে বাতিল হওয়া ইলেকট্রনিক পণ্যের ভাগাড়কে ‘শহুরে খনি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ি ২০১৪ সালে নতুন করে আরও প্রায় ৪ কোটি ১০ লাখেরও বেশি বাতিল ই-পণ্য এই ‘খনিতে’ যুক্ত হয়েছে। এই ই-বর্জ্যে আছে ১৬ হাজার টনেরও বেশি লোহা, ১হাজার ৯’শ টন তামা, ৩’শ টন সোনা এবং দামি ধাতব প্যালাডিয়াম আছে প্রচুর পরিমাণে। আর্থিক মূল্যে যার পরিমাণ প্রায় ৫২ বিলিয়ন ডলার।
তবে এই বিপুল পরিমাণ বাতিল ই-পণ্যের মধ্যে মাত্র ১৬ শতাংশ রিসাইকেল বা পুনরায় ব্যবহার হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি ও ইউএন ইউনিভার্সিটির রেক্টর ডেভিড মেলন জানান, বিশ্বে বাতিল ই-পণ্যের এই বিপুল ভাণ্ডার রিসাইকেলের সমৃদ্ধ ক্ষেত্র। ই-বর্জ্যের দামি ধাতু ছাড়াও আছে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর শিসা। এজন্য ই-বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনায় জোর দেয়া উচিৎ বলে জানান তিনি।
ইউএন ইউনিভার্সিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতবছর সবচেয়ে বেশি ইলেকট্রনিক পণ্য বাতিল হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যার পরিমাণ ৭ হাজার ৭২ কিলোটন। তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষে আছে চীন যার ই-বর্জ্যের পরিমাণ ৬ হাজার ৩২ কিলোটন এবং ২ হাজার ২’শ বাতিল ই-পণ্য জমিয়ে তৃতীয়তে আছে জাপান।
আর জনপ্রতি ই-বর্জ্য’র দিক দিয়ে এগিয়ে আছে ইউরোপ। গত বছর শুধু নরওয়েতেই একজন নাগরিকের বাৎসরিক ই-বর্জ্য’র পরিমাণ ছিল ২৮ কেজিরও বেশি। আফ্রিকাতে জনপ্রতি ই-বর্জ্য’র পরিমাণ ছিল সবচেয়ে কম প্রায় ২ কেজি।