এখনো গ্রেফতার হয়নি উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার খুনি ওবায়দুল খান। অথচ এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবির সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য দাবি জুড়ে দিয়েছে অভিভাবকদের একটি অংশ। দুপুরে এমনকি শিক্ষামন্ত্রীর সামনেও তাদের ভূমিকা বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয় শোকাহত ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের। বিস্মিত হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নিজেও।
শিক্ষার্থীরা যখন ব্যস্ত রিশা হত্যার বিচারের দাবিতে ঠিক তখনই অভিভাকদের একটি অংশ প্রতিষ্ঠানের নানা সমস্যা সামনে তুলে এনেছে। সকাল ১১টার দিকে রিশার মা যখন স্কুলে আসছিলেন তখন তাকেও আটকে দেন তারা। কোনো রুমে না বসিয়ে খোলা মাঠের মধ্যেই ঘিরে ধরেন তাকে। আর শতাধিক গণমাধ্যম কর্মী হামলে পড়েন মেয়ে হারানোর শোকে স্তব্ধ হয়ে যাওয়া মা তানিয়া হোসেন ওপর।
শিক্ষার্থীরা অবশ্য বলছে, বিচার না হওয়ার পর্যন্ত মাঠে থাকবে তারা।
তারা বলেছে, তাদের দাবি সুষ্ঠু বিচার। কিন্তু এখনো কেনো পুলিশ হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে পারল না এ নিয়ে বিস্মিত শিক্ষার্থীরা।
নিহত রিশার বাবা রমজান আলী বলেছেন, এই কষ্ট সহ্য করতে পারছেন না তিনি। মেয়ে হত্যার সর্বোচ্চ বিচারের দাবি তার।
রিশার বাবা-মাকে সরিয়ে রাখার কারণে শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও শুরুতে ঘেঁষতে পারেননি তারা।
তবে, মন্ত্রী যখন বক্তৃতায় হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি করছিলেন তখন শিক্ষার্থীরা এখনো খুনি গ্রেফতার না হওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে শ্লোগান দিচ্ছিল।
গত বুধবার স্কুল ছুটি শেষে বাসায় ফেরার পথে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজের ওপরে বখাটে যুবক ওবায়দুলের ছুরিকাঘাতের শিকার হয় রিশা। কয়েকমাস ধরে রিশাকে উত্যাক্ত করে আসছিল ওই যুবক। গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু হয় রিশার। বিচারের দাবিতে রোববার থেকে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা।