চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রিমান্ডে যুবলীগ নেতা খালেদ

রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবের অবৈধ ক্যাসিনো মালিক যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্র মামলায় ৪ দিন এবং মাদকের মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

রিমান্ড মঞ্জুরের পর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে কড়া পুলিশ প্রহরায় মিন্টোরোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টায় ঢাকা মহানগরের পৃথক পৃথক আদালতে অস্ত্র মামলায় ৪ দিন ও মাদক মামলায় ৩ দিনসহ পর্যায়ক্রমে মোট সাতদিনের এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

প্রথমে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তারের আদালতে হাজির করে অস্ত্র মামলায় খালেদের ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি নিয়ে বিচারক ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমানের আদালতে হাজির করে মাদক মামলায় খালেদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি নিয়ে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

খালেদের বিরুদ্ধে গুলশান ও মতিঝিল থানায় মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশান থানা পুলিশের কাছে খালেদকে হস্তান্তর করে র‌্যাব। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে খালেদকে আদালতে পাঠায় র‌্যাব।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, গুলশান থানায় খালেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর যথাক্রমে ২৩, ২৪ ও ২৫।

এর মধ্যে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দুটির তদন্ত করবে পুলিশ। আর মানি লন্ডারিং সংশ্লিষ্ট মামলার নথি সিআইডিতে পাঠানো হচ্ছে, সেটি তারা তদন্ত করবে।

আসামীকে আদালতে পাঠাতে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ডিসি বলেন, তথ্য উপাত্ত ও আইনের ধারা বিবেচনায় এজাহার সাজাতে দেরী হয়েছে। সেই কারণে আসামীকে আদালতে পাঠাতে একটু সময় লেগেছে।

ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের ডিসি আনোয়ার হোসেন জানান, মতিঝিল থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি খালেদের নামে এবং আরেকটি ওয়ান্ডার্স ক্লাব সংশ্লিষ্ট।

বুধবার রাতে গুলশানের বাসা থেকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকসহ খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করে র‍্যাব। এ সময় তার বাড়ি থেকে তিনটি অস্ত্র, গুলি, ৫৮৫ পিস ইয়াবা, ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫০ টাকা এবং ৬-৭ লাখ টাকা মূল্যের সমমান বিদেশী মুদ্রা জব্দ করা হয়েছে। অস্ত্রগুলোর একটি লাইসেন্সবিহীন, অপর দু’টি লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ করে রাখা হয়েছিল।