হাসান ঝন্টু: বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে বাদী দুলাল শরীফের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৪ আসামির বিচারকার্য শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিনেই ৫ আসামির বয়স প্রমাণের জন্য ডাক্তারি পরীক্ষার আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানির জন্য ১৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সোমবার বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমানের আদালতে ১৪ শিশু অপরাধীর আনুষ্ঠানিক বিচারকার্য শুরু হয়। একই সময় ৫ আসামির বয়স প্রমাণের জন্য ডাক্তারি পরীক্ষার আবেদন করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়: বহুল আলোচিত এ মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সোমবার প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের দিন পূর্ব নির্ধারিত ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণের দিন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার বাদী নিহত রিফাত শরীফের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ। একই দিনে মামলার পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামির বয়স নির্ধারণের জন্য আদালতে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
বয়স প্রমাণের জন্য যে সকল আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করা হয়েছে তারা হলো- রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী, জয় চন্দ্র সরকার চন্দন, মো. নাঈম, সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিবুল্লাহ এবং মারুফ মল্লিক।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমানের আদালতে সাক্ষ্য দেন রিফাত শরীফের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ। সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে বরগুনা কারাগারে থাকা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১১ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এদিন আদালতে উপস্থিত হন জামিনে থাকা এ মামলার অন্য তিন আসামি।
গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অন্যদিকে গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন। এছাড়া নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি প্রিন্স মোল্লা উচ্চ আদালতের আদেশে এবং বরগুনার শিশু আদালতের আদেশে মারুফ মল্লিক এবং আরিয়ান হসেন শ্রাবণ জামিনে রয়েছেন। আর বাকি আসামিরা কারাগারে।