বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার নিয়মিত তারিখে বুধবার আদালতে হাজিরা দিয়েছে আসামিরা। আদালত এই মামলার পলাতক শিশু আসামি নাইমের জন্য পেপার বিজ্ঞপ্তির আদেশ দিয়েছেন এবং পরবর্তী হাজিরার তারিখ ৩১ অক্টোবর নির্ধারণ করে আসামিদের জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু জানান: পলাতক শিশু আসামি নাইমের বিষয়ে পেপার বিজ্ঞপ্তি দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত এবং প্রধান আসামি রিফাত ফরাজী ও টিকটক হৃদয়ের জামিনের আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইয়াসিন আরাফাত আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এই মামলায় দুই আসামি পলাতক রয়েছে এই দুই আসামি আদালতে হাজির হলে পৃথকভাবে জজ আদালতে এবং শিশু আদালতে চার্জ গঠন করা হবে।
গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের পাশে রিফাতকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে কয়েকজন যুবক। সেসময় নানাভাবে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেও বাঁচতে পারেনি রিফাত।
হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রিফাতকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত রিফাত বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের মাইঠা-লবণগোলা এলাকার দুলাল শরীফের ছেলে।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় কয়েকজন যুবক রিফাতকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর আঘাত করছে। আর তাদের হাত থেকে স্বামীকে রক্ষার চেষ্টা করছেন রিফাতের স্ত্রী। তিনি চিৎকার করে সাহায্য চাচ্ছেন। কিন্তু কাউকে তাদেরকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।
রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে তার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।
নানা নাটকীয়তার পর ১৬ জুলাই এই ঘটনায় ‘সম্পৃক্ততা পাওয়ায়; রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আইনী লড়াই করে মিন্নি এখন হাইকোর্টের দেয়া জামিনে আছেন।