গভর্নরের পদত্যাগ, দুই ডেপুটি গভর্নর বরখাস্তসহ সব কিছুর পরও স্বাভাবিক বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম, এমন দাবী করেছেন ব্যাংকটির মুখপাত্র শুভংকর সাহা। সারা দিন দফায় দফায় গোয়েন্দারা বাজেট ও একাউন্টস এবং তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর একজন বিশেষ সহকারীও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা রাজী হাসানের সঙ্গে।
চরম নাটকীয় এক দিন মঙ্গলবার, টানা ৭ বছরের দায়িত্ব পালনের শেষের দিকে রিজার্ভ থেকে টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনার দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেন ডক্টর আতিউর রহমান। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হয়েছেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ডক্টর এম আসলাম আলম।
চিত্র: ডক্টর এম আসলাম আলম
নিয়োগের মাত্র ১ মাস ৭ দিনের মাথায় বরখাস্ত হয়েছেন ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা। খানিক সময়ের জন্য অন্তবর্তীকালীন গভর্নরের দায়িত্ব পাওয়া আবুল কাশেমও বরখাস্ত হয়েছেন একই সঙ্গে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একসঙ্গে এতো ঘটনার পরও সবকিছু স্বাভাবিক।
চিত্র : নাজনীন সুলতানা ও আবুল কাশেম
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভংকর সাহা বলেন, আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব রুটিন কাজ, সেই সাথে যে স্বাভাবিক কাজ তা স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। এতে কোনো বিঘ্ন হচ্ছে না।
রিজার্ভ থেকে টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনার সত্য উদঘাটনে দেশী-বিদেশী সংস্থার তদন্তও চলছে। শুভংকর সাহা বলেন, এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে এবং যেই বিষয়টা ঘটেছে তার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কাজ করছে। সিআইডি দলের কয়েকজন সদস্যও বাংলাদেশ ব্যাংকে এসে বিষয়টা দেখছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করছেন। এখানে আমাদের কোথাও দুর্বলতা ছিলো কিনা?, থাকলে কি দুর্বলতা ছিলো? এবং আমাদের কোন কর্মকর্তারও এই জায়গাটায় সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা? সবই দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছেন গভর্নর পদে নিয়োগ পাওয়া সাবেক অর্থসচিব ফজলে কবীর।