বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই জড়িত এমনটাই সন্দেহ করছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয় এফবিআই এজেন্টদের কাছে প্রমাণ রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাটের ঘটনায় কমপক্ষে একজন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। এবং ওই কর্মকর্তা ছাড়াও আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারেন যারা হ্যাকারদের বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করতে সাহায্য করেছেন।
এফবিআই বলছে এই ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার দুর্বলতাকেই ইঙ্গিত করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘অর্থ লোপাটের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়জন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন সে সংখ্যা নিশ্চিত করেনি এফবিআই। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে সুইফট। বিবৃতিতে সুইফট বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পেছনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পক্ষগুলো যে সব সমস্যার কথা তুলে ধরছেন তার কোনোটির জন্যই সুইফট দায়ী নয়।সুইফটের অন্য সব ব্যবহারকারীর মতোই বাংলাদেশ ব্যাংক নিজে সুইফট নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্কিত সব ধরণের সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য দায়বদ্ধ। এর মধ্যে পাসওয়ার্ড প্রোটেকশন থেকে শুরু করে অন্য সব অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রয়েছে।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। ঘটনাটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় পদত্যাগ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।