রায়ের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয়েছে এমন অপরাধে ছাড় নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু।
রায়ের পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব (১৭) ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬) নিহতের ঘটনায় করা মামলায় জাবালে নূর পরিবহনের চালকসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।
তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, এই রায়ের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয়েছে এমন অপরাধে ছাড় নেই। কেউ এই ধরনের অপরাধ করে পার পাবেন না। এই রায়ের মধ্যে আরও প্রমাণিত হয়েছে এধরনের অন্যায়ের শিকার হয়ে আরাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা রায় পড়ব এবং বিশ্লেষণ করব। রায় পড়ার শেষে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবদালতে এসে প্রতিকার পাবেন।
রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা রায় পড়ব এবং বিশ্লেষণ করব। রায় পড়ার শেষে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব। তবে সার্বিকভাবে রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে প্রাণ হারায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব (১৭) ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬)। আহত হয় আরও ১০-১৫ শিক্ষার্থী।
ওই দিনই নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন। ২৫শে অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন।