ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। বুধবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার একাদশে ত্রিদেশীয় সিরিজে চার পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করা আয়ারল্যান্ড ২৯৩ রানের বড় লক্ষ্যই দিয়েছে টাইগারদের। এই ম্যাচ জিতলে অপরাজিত থেকে ফাইনালে নামবেন মাশরাফীরা।
ওয়ানডে অভিষেকের আগেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পাওয়া, ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথমবার নেমে উইন্ডিজের বিপক্ষে উইকেটশূন্য থাকা, আত্মবিশ্বাসে টলেননি আবু জায়েদ রাহি। আইরিশদের বিপক্ষে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচের ২৫ বছর বয়সী এ ডানহাতি পেসারের বোলিং ফিগার- ৯ ওভারে ৫৮ রানে ৫ উইকেট।
ডাবলিনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে এসে স্টার্লিং ১৩০ ও পোর্টারফিল্ডের ৯৪ রানে নির্ধারিত ওভারে এদিন ৮ উইকেটে ২৯২ রান তুলে থেমেছে আয়ারল্যান্ড। পুরো ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করা বাংলাদেশ ইনিংসের শেষাংশে এসে রান বিলিয়েছে অকাতরে! তাতে কঠিন লক্ষ্যই সামনে এসেছে।
স্বাগতিকদের সঙ্গে প্রথম দেখার ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল, তাতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় বাংলাদেশকে। তবে আরেক প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুই দেখাতেই সহজে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। শুক্রবার শিরোপার মঞ্চে তামিম-সাকিবদের প্রতিপক্ষ আইরিশদের দুবার হারানো ক্যারিবীয়রাই।
ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথমবার নামা রুবেল হোসেনের সাফল্যে এদিন প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ক্যাককলামকে (৫) স্লিপে লিটনের ক্যাচ বানান নতুন বলে হাত ঘোরানোর সুযোগ পাওয়া রুবেল।
বেলব্রিনেকে (২০) সাজঘরে পাঠিয়ে দ্বিতীয় সাফল্য আনেন আবু জায়েদ রাহি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথম সাফল্য তার।
এরপরে শুধুই ক্যাচ মিস আর টাইগারদের দীর্ঘ অপেক্ষার গল্প। পরপর দুবলে সাব্বির ও সাইফউদ্দিনের হাতে জীবন পাওয়া পল স্টার্লিং তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ১৪১ বলে ১৩০ রান, ৮ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো ইনিংস তার।
বড় জুটির সঙ্গী উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড সেঞ্চুরির খুব কাছে যেয়ে ফিরেছেন। তিনিও জীবন পেয়েছেন শুরুর দিকে। দারুণভাবে সুযোগ কাজে লাগানো ইনিংসটি তার ৯৪ রানের। অধিনায়ক ৭ চার ও ২ ছক্কায় ১০৬ বলে সাজিয়েছেন ইনিংসকে।
স্টার্লিংয়ের সঙ্গে পোর্টারফিলর্ডে জুটি ১৭৪ রানের। জুটি ভাঙেন রাহি, পোর্টারফিল্ডকে লিটনের ক্যাচ বানিয়ে। পরে আরও তিনবার উইকেট পাওয়ার উল্লাসে মাতেন এ পেসার।
রুবেল এদিন ২টি মেডেন নিয়েছেন, তবে ৭ ওভারে ৪১ রান একটু খরুচেই বলা যায়, উইকেট ওই ১টিই। সাকিবের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই সাইফউদ্দিন পয়েন্টে ক্যাচ ফেলেছেন, এ অলরাউন্ডার আর উইকেটের দেখা পাননি। ৯ ওভারে দিয়েছেন ৬৫ রান। তার নবম ওভারে প্রতিপক্ষ তুলেছে ২৩ রান।
মাশরাফী বোলিংয়ে এসেছেন ইনিংসের মাঝ পেরিয়ে। ৮ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য কেটেছে অধিনায়কের, আগের দুই ম্যাচে ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। মিরাজের জায়গায় আসা মোসাদ্দেক ৮ ওভারে ৩২ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পাননি, তবে সবচেয়ে কম খরুচে। সাইফউদ্দিন ২ উইকেট পেয়েছেন, দারুণ বোলিংয়ে করে ৯ ওভারে ৪৩ রান দিয়েছেন। মার্ক আদিয়ার তার বলে হিট-উইকেট আউট হয়েছেন।