শুরুটা হয়েছিল রোহিত দলে নেই কেনো দিয়ে। তিনি ফিট না আনফিট তা নিয়েও জল ঘোলা কম হয়নি। পরে এলো কোহলির পারিবারিক প্রসঙ্গ। অধিনায়ক কেনো সিরিজের মাঝপথে দেশে ফিরবেন, হোক না সেটি প্রথম সন্তান ভূমিষ্ঠের সময় স্ত্রীর পাশে থাকার কারণে। সেসবে জল পড়তে না পড়তেই ৩৬ রানে অলআউট হল ভারত। কোহলি দলকে ভাঙাচোরা জায়গায় রেখেই দেশের বিমানে চাপলেন। রোহিতও ফিট হননি। রাহানে ধরলেন হাল। আপদকালীন দায়িত্ব নিয়ে দলকে এনে দিলেন ৮ উইকেটের দারুণ এক জয়। সব বিতর্ক যেন এক তুড়িতে উড়িয়ে দিল ভারত।
সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে অলআউটের ক্ষত নিয়ে নামা ভারত দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে নাচিয়ে জিতেছে। ৪ উইকেট হাতে রেখে মাত্র ২ রানের লিড নিয়ে মেলবোর্নে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল স্বাগতিকরা। চতুর্থ দিনে অলআউট হতে হতে ২০০ পর্যন্ত গেছে।
বক্সিং ডে টেস্টে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৫ রানে অলআউট করে দেয়া ভারত নিজেরা প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৩২৬ রান, অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানের ১১২ রানের ক্যাপ্টেন্স নকে ভর করে।
প্রথম ইনিংস থেকে ১৩১ রানের লিড আদায় করা অতিথিরা চাপে রেখে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করায় অজিদের। সেই চাপ আর সামাল দিতে পারেনি স্বাগতিকরা। ঝরঝর করে ঝরে পড়ে তাদের টপঅর্ডার। চতুর্থ দিনের সকালে একটু লড়াই হয়েছে যদিও।
ক্যামেরন গ্রিনের ৪৫, প্যাট কামিন্সের ৪৪ ও মিচেল স্টার্কের ১৪ রানে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ২০০ ছোঁয়। ভারতকে জিততে দেয় ৭০ রানের লক্ষ্য।
যেটি ২ উইকেট হারিয়ে ১৫.৫ ওভারে তুলে ফেলে ভারত। মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৫ ও চেতেশ্বর পূজারা ৩ রানে ফিরে যান। শুভমন গিল ৩৫ ও ম্যাচসেরা রাহানে অপরাজিত ২৭ রানে জয়ে নোঙর ফেলেই ২২ গজ ছাড়ে।
স্টার্ক ও কামিন্স একটি করে উইকেট নিয়ে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সেজন্য দরকার ছিল ভালো একটা পুঁজির, যেটি দিতে পারেননি সতীর্থ ব্যাটসম্যানরা।
চার টেস্টের সিরিজে এখন ১-১এ সমতা। তৃতীয় ম্যাচ সিডনিতে নতুন বছরের ৭ জানুয়ারি থেকে। শেষটি ব্রিসবেনে, শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি। প্রথম টেস্টে অ্যাডিলেডে ঠিক ৮ উইকেটেই জিতেছিল অজিরা।