বল করেছিলেন কেবল এক ওভার। তাতেই তুলে নিলেন ৪ উইকেট। ব্যাট হাতেও তুললেন ঝড়। শেষ ওভারে এসেছিল নায়ক হওয়ার সুযোগ। সেটি আর হয়ে ওঠেনি। আর তাই কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮ রানে হারিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে নতুন ফ্রাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটান্স।
এক ওভারে ৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন রাসেল। ২৫ বলে এক চার ও ৬ ছক্কায় খেলেন ৪৮ রানের টর্নেডো ইনিংস। তবু হয়নি কলকাতার শেষ রক্ষা।
৭ ম্যাচে ৬ জয় ও এক হারে গুজরাটের পয়েন্ট ১২। এক ম্যাচ বেশি খেলা কলকাতা রয়েছে টেবিলের সাতে। ৩ জয় ও ৫ হারে তাদের পয়েন্ট ৬।
অন্যদিকে, ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্টে থাকা রাজস্তান রয়্যালস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর রানরেটের পার্থক্যে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সমান ৮ পয়েন্ট পাওয়া লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ও সানরাইজার্স হায়দারাবাদ যথাক্রমে চার ও পাঁচ নম্বরে আছে।
শনিবার দিনের প্রথম খেলায় টসে জিতে ব্যাট করা গুজরাট ৯ উইকেটে ১৫৬ রান করে। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ৪৯ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৬৭ রান। ডেভিড মিলার ২৭ রান করলেও ছিলেন না বিধ্বংসী। ২০ বল খেলেন এই প্রোটিয়া ক্রিকেটার। ওপেনিংয়ে নামা ঋদ্ধিমান সাহা করেন ২৫ রান।
গুজরাটের ইনিংসের শেষ ওভারে আন্দ্রে রাসেলের হাতে প্রথমবার বল তুলে দেন কলকাতার কাপ্তান শ্রেয়াস আয়ার। আর তাতেই রাসেল দেখান ঝলক। প্রথম দুই বলে তুলে নেন অভিনব মনোহর ও লুকি ফার্গুসনের উইকেট। এই দুই ব্যাটারের ক্যাচ নেন রিংকু সিং। রাসেলের হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা নস্যাৎ করে এক রান তার স্বদেশী আলজারি জোসেফ।
ওভারের পঞ্চম ও শেষ বলে আবারো রাসেলের জোড়া আঘাত। ১৭ রান করা রাহুল তেওয়াতিয়ার ক্যাচ নেন রিংকু। পরের বলে ইয়াশ দয়ালের ক্যাচ নিজেই ধরেন রাসেল।
রাসেলের ৪ উইকেট পাওয়ার পাশাপাশি ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট দেন টিম সাউদি।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কলকাতা বিপদে পড়ে। পঞ্চম উইকেটে রিংকু সিং ও ভেঙ্কেটেশ আয়ার ৪৫ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। ২৮ বলে ৩৫ রান করে ফেরেন রিংকু। ৯৮ রানের মাথায় ড্রেসিং রুমে ফেরেন ভেঙ্কেটেশ। কলকাতার হার তখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল।
তবে শেষের আগে মাঠে বয়ে যায় রাসেল ঝড়। তিনি দেখিয়েছিলেন কলকাতার জয়ের আশা। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৮ রান। জোসেফের প্রথম বলেই রাসেল ছক্কা মারলে সমিকরন দাঁড়ায় ৫ বলে ১২ রান।
জোসেফের দ্বিতীয় বলে পুল করেন রাসেল। সীমানার বাইরে বল পায়নি দূরত্ব। ফাইন লেগে থাকা ফার্গুসন ক্যাচ নেয়াটাই হয়ে যায় ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। পরের ৪ বল থেকে ৩ রানের বেশি আসেনি। তাই হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের দল।
২০ রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করেন মোহাম্মদ শামি। ২২ রান খরচায় ২ উইকেট রশিদ খানের পকেটে যায়। ইয়াশ দয়াল ২ উইকেট পেলেও ছিলেন অতি খরুচে, রান দেন ৪২।