রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস-কয়লা আমদানির ওপর নিধেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেই এ কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ রাশিয়ায় পুতিনের নেতৃত্বকে মার্কিন জনগণের পক্ষ থেকে ‘ধাক্কা’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
বাইডেন এ প্রসঙ্গে বলেছেন: আমরা পুতিনের যুদ্ধের ভুর্তকি (আর্থিক যোগানদাতা) হবো না।
রাশিয়ার বিকল্প বাজার হিসেবে সৌদি আরব, ভেনিজুয়েলা ও ইরানকে সম্ভাব্য বাজার হিসেবে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেথাজ্ঞা দিলে তাদের গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল ইউরোপে গ্যাস রপ্তানি বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
দুই-চার হাজার রুশ সেনা নিহত
ইউক্রেনে রাশিয়া যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই থেকে চার হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে এ তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান স্কট বেরিয়ার। বিবিসির এক সংবাদে এ তথ্য জানা যায়।
তিনি জানান: গোয়েন্দা তথ্য এবং ‘ওপেন সোর্স’ রিপোর্টিংয়ের ওপর ভিত্তি করে এ সংখ্যা অনুমান করছেন। তবে নিহতের এ সংখ্যার ওপর স্কট ‘খুব বেশি আস্থাশীল না হলেও’ তিনি দাবি করেন ইউক্রেনে ‘রুশদের পরিকল্পনা ভালো ছিল না।’
এর আগে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরেক খবরে বলা হয়, পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে এক লড়াইয়ে একজন উর্ধতন রুশ সামরিক কমান্ডর নিহত হয়েছেন।
যুদ্ধ বন্ধে নানা উদ্যোগ
যুদ্ধ বন্ধে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্ত না হওয়ার বিষয়টি সংবিধানে অন্তর্ভুক্তিসহ ইউক্রেনকে চারটি শর্ত দিয়েছে রাশিয়া। আবারও যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে মস্কো আশ্বাস দিয়েছে, পছন্দমতো যেকোনো দিকে যেতে পারবেন ইউক্রেনীয়রা। তবে কিয়েভের অভিযোগ, হামলা বন্ধ না হওয়ায় নাগরিকদের সরানো যাচ্ছে না। বুধবার আবারও শান্তি আলোচনায় বসছে ইউক্রেন-রাশিয়া।
বৃহস্পতিবার তুরস্কে আলোচনায় বসবেন রুশ ও ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যুদ্ধে জয় না আসা পর্যন্ত কিয়েভ ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
পরিস্থিতিকে ‘দুশ্চিন্তার’ বলে বর্ণনা করে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ও জার্মান চ্যান্সেলরের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, শান্তি আলোচনায় ৩ দেশেরই সমর্থন দেওয়া উচিত।