চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রাশিয়ার বিশ্বকাপ আয়ে অবাক অর্থনীতিবিদরা

২০১৮ বিশ্বকাপ আয়োজন করে ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ আয় হয়েছে রাশিয়ার। মঙ্গলবার দোহায় টুর্নামেন্টের আয়োজক সংস্থা ফিফা রাশিয়ার এ বিপুল অঙ্কের অর্থ উপার্জনের কথা জানিয়েছে।

বিপুল পরিমাণ অর্থ রাশিয়ার নিজস্ব পণ্য থেকে অর্জিত গড় আয়ের এক শতাংশেরও বেশি। মাত্র একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করে এ পরিমাণ লাভে অবাক করা ঘটনা বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

রাশিয়া বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্সি সরকিন বলেছেন, ‘রাশিয়ার আর্থিক, সামাজিক ও পরিবেশে প্রভাব ফেলেছে বিশ্বকাপ। খেলাটা মাঠে হয়েছে ঠিকই। কিন্তু প্রভাব মাঠের বাইরেও দেখা দিয়েছে সমানভাবে। বিশ্বকাপ আয়োজনের ফলে সেদেশের পর্যটন শিল্পেও ব্যাপক মুনাফা হয়েছে।’

২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারে একটি ফুটবল কনফারেন্সে সরকিন আরও বলেছেন, ‘এই পরিসংখ্যান ও রিপোর্ট আমাদের কাছেও বিস্ময়কর। তবে এটা একদিকে ফুটবলের জন্য ভালো বিজ্ঞাপন। ফুটবল মানুষের জীবনেও প্রভাব ফেলে, এটাই তার প্রমাণ।’

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, টুর্নামেন্টের আয়োজক স্বত্ত্ব পাওয়ার পর ২০১৩ থেকে শেষ পর্যন্ত রাশিয়া প্রতিবছর কর্মসংস্থান বাড়িয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজারের মতো। এরমধ্যে শেষ কয়েকমাসে আয় ছিল জিডিপির ০.৪%। যার প্রভাব এখনও সেখানকার অর্থনীতিতে পড়ছে। অন্তত আগামী ৫ বছর পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সময়ে বিশ্বকাপ প্রভাব থেকে আরও অন্তত ২১০ বিলিয়ন রুবল(রুশ মুদ্রা) আয় হবে বলে জানিয়েছে মস্কো টাইমস।

টুর্নামেন্টের আগে ফুটবল দাঙ্গা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল রাশিয়ায়। কিন্তু টুর্নামেন্ট চলাকালীন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

রাশিয়া বিশ্বকাপে পর্যটকের সংখ্যাও আগের বিশ্বকাপের চেয়ে বেশি ছিল। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের সঙ্গে পর্যটনে রাশিয়া বিশ্বকাপ পেছনে ফেলেছে ২০১০ সাউথ আফ্রিকা ও ২০০২ কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপকেও। মাঝের ২০০৬ জার্মান বিশ্বকাপেই শুধু বেশি পর্যটক ছিল বলে জানিয়েছে অর্থনীতির সংবাদদাতা দৈনিক ‘ভিদোমোস্তি বিজনেস ডেইলি’।

গত ১৪ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত হওয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ২-৪ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স।