হাঙ্গেরি জ্বালানি খাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন দেবে না। সোমবার দেশটির অর্থমন্ত্রী মিহালি ভার্গ এ কথা জানান।
তিনি বলেছেন: জ্বালানি খাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেকোনো নিষেধাজ্ঞা হাঙ্গেরির মুদ্রানীতি এবং জাতীয় কল্যাণ বাধাগ্রস্ত করবে। তাই জ্বালানি খাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোন নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন দেবে না হাঙ্গেরি।
দেশটির অর্থমন্ত্রী এমন এক সময় তার দেশের অবস্থান তুলে ধরলেন যখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিষয়ে লন্ডনে বৈঠকে বসতে যাচ্ছিলো ভিসেগ্রাদ অঞ্চলের চার দেশ-হাঙ্গেরী, পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক ও স্লোভাকিয়া।
অপর দিকে হাঙ্গেরীর প্রধানমন্ত্রী ভিক্টোর ওরবানের দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের জন্য তার দেশ কোন অস্ত্রের চালান পাঠায়নি বলে দাবি করেছেন।
এদিকে, ইউক্রেনীয়দের জন্য রাশিয়া ও বেলারুশের পথ খুলে দিয়ে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে মস্কো। কেবল রাশিয়া ও বেলারুশের পথ খুলে দেয়ার এই প্রস্তাবকে অমানবিক ও নীতিহীন বলেছে কিয়েভ। রাশিয়ার প্রতি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সাউথ কোরিয়া। রাশিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ করেছে দেশটি।
বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে ইউক্রেইনের রাজধানী কিয়েভসহ কয়েকটি শহরে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা করেছে রাশিয়া। কিন্তু হামলা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের বাঁচতে হলে আশ্রয় নিতে হবে শুধু রাশিয়া ও বেলারুশেই।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে এই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়েছে। এতে করে কিয়েভ, খারকিভ, মারিওপোল ও সুমাই শহর থেকে বেসামরিক লোকজন নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এই শহরগুলোতে গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে আসছে আগ্রাসী রুশ বাহিনী।
বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে থাকা এই শহরগুলোর পরিস্থিতি বিবেচনায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ব্যক্তিগত অনুরোধে এসব শহরে অস্ত্রবিরতি কার্যকরের এই ঘোষণা দিয়েছে মস্কো।
রাশিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ শরনার্থী ইউক্রেন ত্যাগ করে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। যার মধ্যে দশ লাখেরও বেশি শরনার্থী পোল্যান্ডেই আশ্রয় নিয়েছে। শরনার্থীদের জন্য পৌনে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা ঘোষণা করেছে পোলিশ সরকার।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধাবস্থায় ন্যাটোর নিরাপত্তা সুরক্ষা ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে আছে লিথুয়ানিয়া। বাল্টিক অঞ্চলে এক জরুরী সফরে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন