সিরিয়ায় আইএস জঙ্গি ও বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর পরপরই ওই হামলার লক্ষ্যবস্তু নিয়ে গভীর সন্দেহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, রাশিয়ার এই বিমান হামলার পিছনে কোনো সৎ উদ্দেশ্য নেই। তারা আইএস’র নামে প্রেসিডেন্ট আসাদ বিরোধীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগের বিরোধিতা করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিরিয়ায় পুনরায় দখল কায়েমের জন্য আসা আইএস জঙ্গিদের অবস্থান, ওদের অস্ত্র ও গাড়িবহর লক্ষ করেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
যদিও রাশিয়ার এই দাবি নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি অ্যাশ কার্টার বলেছেন, বিমান হামলা নিয়ে রাশিয়ার দেওয়া তথ্য সর্ম্পকে আমি এখনো নিশ্চিত নই। রাশিয়া সেই সব অঞ্চলেই বিমান হামলা চালিয়েছে; যেসব অঞ্চল আইএস’র দখলে নেই। রাশিয়া আইএসকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।
কার্টার আরো বলেন, রাশিয়ার এই ধরনের কার্যকলাপের ফলাফল সিরিয়ার গৃহযুদ্ধকে উস্কে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সিরিয়ার হোম শহরের কাছে যেখানে আইএস জঙ্গিদের কোনো ঘাঁটি নেই; সেখানে রাশিয়ার চালানো এই বিমান হামলা সম্পূর্ণ অর্থহীন। এতেই বোঝা যায় রাশিয়া আইএস দমনে হামলা চালায়নি।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, রাশিয়ার বিমান হামলার লক্ষ্য আইএস জঙ্গি কিংবা নুসরা ফ্রন্ট নয়, বরং আসাদ সরকারকে রক্ষা করাই রাশিয়ার হামলার মূল লক্ষ্য। তবে আইএস জঙ্গি ও আল কায়েদা সংশ্লিষ্টদের উপর হামলাকে স্বাগত জানাবে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গত কয়েক বছর ধরে আসাদ বিরোধীদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করছে।