নেইমারের অভাব পূরণ হওয়ার নয়। ম্যাচের আগেরদিন এমন আক্ষেপ ছিল ব্রাজিল কোচ টিটের কণ্ঠে। ম্যাচ শেষে সেটা না থাকারই কথা! শিষ্যদের প্রদর্শনীতে আশ্বস্ত হতেই পারেন সেলেসাও কোচ। দলের অন্যতম ভরসাকে ছাড়াই যে রাশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে বড় জয় তুলে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু করেছে ব্রাজিল।
শুক্রবার মিরান্ডা, ফিলিপে কৌতিনহো ও পাউলিনহোর গোলে প্রীতি ম্যাচে রাশিয়াকে ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বসেরা ব্রাজিল।
মস্কোর অলিম্পিসকি স্টাডিঅন লুঝিনিকি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে যেতে হয়েছে ব্রাজিলকে। একহালি সহজ গোলের সুযোগ হারানোর সঙ্গে স্বাগতিক গোলরক্ষক আকিনফিভের চতুর গ্লাভসকে ফাঁকি দিতে পারেননি সেলেসাও ফরোয়ার্ডরা।
ম্যাচের মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় কৌতিনহোর শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছেন আকিনফিভ। ২৩ মিনিটে ঠেকিয়েছেন ডগলাস কস্তার ২০ গজ দূরের আগুনে গোলা শট। ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিট ব্রাজিলিয়ানদের ১১ জনের বিপক্ষে যেন একাই লড়লেন সিএস্কে মস্কোর এই গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ ছিল রাশিয়ানদেরও। ৩১ মিনিটে সামেডভের দূরপাল্লার শট ফিরিয়ে দিয়েছেন ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন। ৩৭ মিনিটে জালের খুব কাছে থেকে বল উড়িয়ে মেরেছেন মিরানচুক।
তারপরও ব্রাজিলকে আটকে রাখতে পারেনি রাশিয়া। স্বাগতিকদের প্রতিরোধ শেষপর্যন্ত মুখ থুবড়ে পরে জোয়াও মিরান্ডার গোলে। ৫৩ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের শট অনেকটা লাফিয়েও ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি আকিনফিভ।
ম্যাচের ৫৯ মিনিটে আবারও সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন কৌতিনহো। পাউলিনহোর বাড়িয়ে দেয়া বলে পাঁচ গজ দূর থেকে শট নিয়েও জাল খুঁজে পাননি বার্সা ফরোয়ার্ড।
তিন মিনিট পরে অবশ্য পাওনা কড়ায় গণ্ডায় শোধ করেছেন কৌতিনহো। রাশিয়ার ডি-বক্সে পাউলিনহো ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ৬২ মিনিটে স্পট-কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কৌতিনহো।
পুরো ম্যাচে ব্রাজিলিয়ানদের আক্রমণভাগের দায়িত্ব বয়ে বেড়ানো পাউলিনহো নিজেও থাকেননি গোলবঞ্চিত। উইলিয়ানের ক্রসে দারুণ এক হেডে জালে বল জড়ান বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিলিয়ানদের সর্বোচ্চ গোলদাতা। তাতে ২০১৩ সালের পর ইউরোপিয়ান দলগুলোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে অপারাজেয়ই থাকে পাঁচবারের বিশ্বসেরা দলটি।