ব্যক্তিগতভাবে আমি যে দুই/একবার দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যাওয়ার কথা ভাবিনি তা নয়। বাংলাদেশ আমার খারাপ লাগতে শুরু করেছিল যখন নিজামি/মুজাহিদরা এদেশের মন্ত্রী ছিলেন। আমি ভাবতাম আমার আব্বা মুক্তিযোদ্ধা, চাচা মুক্তিযোদ্ধা। এদেশ স্বাধীন হল বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে, ঘোষণায় এবং নেতৃত্বে। অথচ ক্ষমতায় বসে আছে স্বাধীনতা বিরোধীরা! এ কেমন স্বাধীনতা, এ কেমন বাস্তবতা? আমার মনে আরও একটা প্রশ্ন ঘুরত।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু আওয়ামীলীগ নির্বাচনে হারে কেন? এগুলো ছিল আমার ছোট্ট মনের প্রশ্ন। বড় হতে হতে বুঝেছি, আওয়ামী লীগের নানা সময়ের সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়েছে নানামুখী কুপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। ৭১ এর পরাজিত শক্তি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বারবার আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে চেয়েছে।
৭৫’এ এসে এই অশুভ শক্তি বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সকলকে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে শেষ করে দিতে চেয়েছে। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে দল তথা দেশকে খাদ থেকে টেনে তুলেছেন। কিছু কিছু নেতা অনেক সময় দল নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন সত্যি, কিন্তু শেখ হাসিনা, দলের নিচের পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং আওয়ামী আদর্শে বিশ্বাসী পরিবারগুলো সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে দেশবাসীকে আবার আওয়ামী লীগের পক্ষে টানতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা বড়গলায় বঙ্গবন্ধুর নাম নিতে পারছি, তার পক্ষে কথা বলতে পারছি, লেখালেখি করতে পারছি। সমাজে দুর্নীতি আসন গেড়ে বসলেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে স্বপ্নযাত্রা শুরু করেছিলেন, কিন্তু নিজে শারীরিকভাবে উপস্থিত থেকে সেই স্বপ্নযাত্রার শেষ দেখে যেতে পারেন নি।
কিন্তু তার আদর্শ ব্যক্তিগতভাবে ধরে রেখেছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ পিছিয়ে যাচ্ছে, এ কথা কেউ বলছে না, বলার সুযোগ নাই। বরং দেশের মানুষ থেকে শুরু করে বিদেশীরা-সবাই অনুধাবন করছেন, স্বীকার করছেন যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ভালো করছে। সাথে সাথে এটাও সত্যি, দেশের মানুষের মনে এবং মগজে স্বস্তি নাই। ৭১’এ মানবতাবিরোধী অপরাধ করা জামাত দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি’র সাথে জোট বেঁধে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করছে। মাঝে মাঝে সেই চেষ্টা ভয়ানক অপচেষ্টা হয়ে যাচ্ছে।
২০১৩-২০১৪ সালে আমরা দেখেছি, জামাত-বিএনপি হরতাল, অবরোধের নামে দেশে কীভাবে পেট্রোল বোমা দিয়ে পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে কীভাবে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। আওয়ামী লীগ সেই ভয়াল সঙ্কট থেকে আপাতত দেশবাসীকে উদ্ধার করেছে। এখন বাংলাদেশে আর হরতাল হয় না। নতুন করে আবার সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়েছে। জামাতের বিদেশি অভিভাবক যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদী শক্তির মদদে সৃষ্ট তথাকথিত আইএস এদেশেরই কিছু তরুণদের দিয়ে এখানে সেখানে হামলাকরে মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে বিদেশি মেহমানদের হত্যা করতে শুরু করেছে।
কিছু ভুল বাদ দিলে সরকার এই সঙ্কটও বেশ দক্ষতার সাথেই মোকাবেলা করছে। পুলিশ আগের চেয়ে তৎপর, দেশের মানুষ আরও বেশি তৎপর। কেউই নিজের ধর্ম, দেশ এবং সমাজকে কলঙ্কিত হতে দিতে চান না। বাবা জঙ্গি ছেলের লাশ আনতেও রাজি হন না, এমনকি জঙ্গি ছেলের জানাজায়ও অংশ নিতে অপারগতা দেখাচ্ছেন। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর বড় অংশের সমর্থন এই সরকারের পক্ষেই আছে বলে আমার মনে হয়। কেউ কেউ বলেন প্রতিবেশী ভারতের সহায়তায় এদেশে আওয়ামী লীগ টিকে আছে। আমি এই তত্ত্বে মোটেও বিশ্বাস করিনা। আমার মতে আওয়ামী লীগ টিকে থাকতে পারছে দুইটা কারণে- (১) অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে বিধায় মানুষ এই সরকারকে মেনে নিয়েছে; (২) বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনাকে এদেশের মানুষের সবাই না হলেও অধিকাংশই বিশ্বাস করে, ভালোবাসে এবং সমর্থন দিয়েছে এবং জনসমর্থন আছে বলেই এদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে পারছে।
ভারত আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সরকারের কিছুটা সহযোগিতা করতে পারলেও স্থানীয় রাজনীতিতে কিছু কিছু বিষয়ে সরকারের ভাবমূর্তি বরং প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলেই আমার ধারণা। সর্বশেষ উদাহরণ সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের তোড়জোড়। রামপাল নিয়ে সারাদেশের সচেতন মানুষের মানসে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত চিন্তা, দুশ্চিন্তা, তর্ক আর বিতর্কের ঝড় বইছে। রামপাল প্রকল্পের পক্ষে, বিপক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া, মূলধারার মিডিয়া, পরিবার, শ্রেণীকক্ষ, চায়ের দোকান, পাবলিক বাস, ট্রেনে-সবখানে মানুষ কথা বলছে। পরিবেশবাদী, চৈনিক বাম, আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তি সবাই রামপালের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের এক শ্রেণীর লোকজন আবার উপরোক্ত সমস্ত ক্যাটাগরির মানুষকে একদলে ফেলে ‘বামাতি’ বলে গালিগালাজ দিচ্ছেন।
রাজাকার, আলবদর বলেও গালিগালাজ করছেন। অন্য চিত্রে আমরা দেখি আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা স্থাপনকারীদের একটা অংশ আছে যারা ভিন্ন ভিন্ন প্রফেশনের হয়েও পরিবেশ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হওয়ার দাবি করে রামপালের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই দুইদলই একটা চরমপন্থায় চলে গিয়েছেন। রামপালের বিরোধীদের একটা অংশ রামপাল সমর্থনকারীদের নব্য ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী প্রক্রিয়ার পেইড এজেন্ট বলে গালিগালাজ করছেন। রামপাল প্রকল্পের সমর্থনকারীদের একটা অংশ এতটাই অন্ধ হয়ে গেছেন যে, তারা এমনও প্রচার করেছেন, এই প্রকল্পে ভারতের নাকি চারআনাও লাভ নেই, পুরোটাই বাংলাদেশের লাভ! ভারতের যদি লাভ নাই থাকে তাহলে ভারত এখানে বাংলাদেশের সাথে কোম্পানি ফর্ম করল কেন? যাইহোক, সব মিলে একটা জগাখিচুড়ী অবস্থা।
পক্ষে-বিপক্ষে প্রচারণা চলছে। মনে হচ্ছে দেশের মানুষের বড় অংশের সমর্থন যারা পাবেন তারাই বিজয়ী। কিন্তু সত্য বলে তো একটা কথা আছে। ফেসবুকে প্রচারণা চালিয়ে জনসমর্থন আদায় করে একটা কিছু করে ফেললেই যে দেশের মঙ্গল নিশ্চিত হবে তা তো নয়। দেশের সবাই যদি মিথ্যা বলে আর একজনও যদি সত্য বলে তাহলেও সত্যই সকলের কাম্য হওয়া উচিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একেবারে শুরুর দিকে সংসদে রামপালের পরিবেশগত বিষয়ে কথা বলেছিলেন। এরপরে দীর্ঘদিন ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রামপাল ইস্যুতে চুপচাপ আছেন। আমার মনে হচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রামপাল নিয়ে ভাবছেন, চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। এটাতো সত্যি যে দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে যতটুকু ভালোবাসে, বিশ্বাস করেন, ততটা অন্য মন্ত্রী বা নেতাদেরকে করেন না।
কারণ সততা, মানবতাবোধ, মমত্ববোধ, দেশপ্রেম, দূরদৃষ্টিসহ নানা মানবীয় এবং রাজনৈতিক গুণাবলীতে আমার বিবেচনায় উনিই সেরা। ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত আর্থিক লোভে দল এবং আদর্শকে বিক্রি করার লোকের অভাব এদেশে কখনোই ছিল না, এখনো নেই। ফলে যার তার কথা শুনে, বদন কিতাবের বিরামহীন পোস্ট দেখে দেশের মানুষ সন্দেহমুক্ত হওয়ার ফুসরত পাচ্ছেনা। এক্ষেত্রে আমার মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ দায়িত্ব নিতে হবে। বুয়েটসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিক বিশেষজ্ঞ, দেশপ্রেমিক ও সৎ রাজনীতিবিদ এবং আমলাদের সমন্বয়ে একটা উচ্চপর্যায়ের কমিটি করে দেশের মানুষের সামনে আসল চিত্র প্রকাশ করতে হবে। উন্মুক্ত সংলাপ এবং বিতর্কের আয়োজন করে গণমাধ্যমে সরাসরি প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা সুনির্দিষ্ট প্রমাণাদি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে রামপাল বিতর্কের অবসান কল্পে আসল চিত্র তুলে ধরবেন।
সবাই সেই সংলাপ দেখবে, কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে থাকে তাহলে তখনই তার মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের পক্ষে দু/একজন রাজনীতিবিদ এবং বুদ্ধিজীবী টেলিভিশনে অবিরাম কথা বলে যাচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু এদেশের নতুন প্রজন্ম, সাধারন মানুষদের বিরাট একটা অংশ যে রাজনীতিবিদের কিংবা বুদ্ধিজীবীদের একটা অংশকে ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারেনা। এর জন্য আওয়ামের কোন দায় নেই, বিশ্বাসের অযোগ্যরাই দায়ী। এদেশের শিক্ষিত শ্রেণীর প্রভাবশালী অংশের ভেতরে কেউ পাকিস্তানী এজেন্ট, কেউ ভারতীয় এজেন্ট কিংবা কেউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্ট। এদেশের শিক্ষিত শ্রেণীর বড় অংশ শুধু নিজেকে ভালোবাসে, নিজের বউ, বাচ্চাকে, আরাম আয়েশ কে ভালোবাসে। যেনতেন ভাবে বিত্ত কামাতে ভালোবাসেন। নৈতিকতা নাই, সততা নাই, মানবতাবোধ নাই, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা নাই, লজ্জা নাই। এরা ঘুষ খেয়ে, আওয়ামের ট্যাক্সের টাকা লুটপাট করে, বিদেশের দালালি করে ভারত কিংবা সিঙ্গাপুর- মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করার স্বপ্নে বিভোর থাকে।
ফলে শিক্ষিত এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে শুধুই বাংলাদেশের এজেন্ট পাওয়া বেশ সহজ কাজ নয়। বঙ্গবন্ধু ছিলেন এদেশের মানচিত্র, নদী, খাল, বিল, সাগর, পাহাড়, প্রাণীকুল, পরিবেশ, জীববৈচিত্র, কৃষক- শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া আওয়ামের এজেন্ট। আজ তিনি নেই, থাকলে আমাদের বাস্তবতা এত গোলমেলে হতনা বলেই আমার উদ্বিগ্ন মনের বিশ্বাস। বঙ্গবন্ধুর শরীর না থাকেলও উনার আদর্শ আছে, চেতনা আছে। এ আদর্শ বাস্তবায়নে নতুন জাতীয় নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা আছেন। যতটুকু আশা আছে এই নারীকে ঘিরেই। জঙ্গিবাদ বিরোধী জিহাদে এদেশের আওয়াম সরকারের কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিয়েছেন, সহযোগিতা করছেন। আমি বিশ্বাস করি রামপালসহ সব ইস্যুতেই সিংহভাগ মানুষ সরকারের সাথে থাকবে, যদি শেখ হাসিনা সরকার মানুষের সামনে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণাদি দিয়ে বিরোধীদের আন্দোলনকে অসার এবং অযৌক্তিক প্রমাণ করতে পারেন।
গায়ের জোরে ভালো কাজও ভালো হয়না। বিরোধীরা এর সুযোগ নেয়। সবাইকে বুঝিয়ে, সম্মতি উৎপাদন করে একটা কাজ করলেই ভালো হয়। আওয়ামী লীগের ভুল করা চলবে না। আওয়ামী লীগ না থাকলে আমরা কোথায় যাব? আমাদের একটাই দেশ, বাংলাদেশ। আমরা ভারতে পালাতে পারবনা; অভিবাসী সেজে ইউরোপ-আমেরিকায় সেটল করার ধান্দা করতে পারবনা। আমাদের অনেক টাকা নেই যে সংকট টের পেয়ে বিমানে আগেভাগে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাব। আমাদের ছেলেমেয়েদের আমরা বিদেশে পড়াতে পারবনা। এদেশেই আমাদের থাকতে হবে।
আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে, চেতনা নিয়ে, দেশপ্রেম নিয়ে বাংলাদেশে বাঁচতে চাই। আমরা আশা করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে নিয়ে বসে, কথা বলে, সময় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনাকে বুঝতে হবে- যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজে হাত দিয়ে করে, বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে দিয়ে আপনি বিএনপি-জামাতসহ আমেরিকার দালালগোষ্ঠীর এক নম্বর শত্রুতে পরিণত হয়েছেন। এই অপশক্তি আপনাকে তথা আওয়ামী লীগকে তথা বাংলাদেশকে শেষ করে দেয়ার ছক কষছে। কিছু প্রভাবশালী মিডিয়া সুকৌশলে সমাজে অশান্তি আর আতঙ্কের অনুভূতি প্রবেশ করিয়ে আপনাকে এবং সরকারকে মানুষের মন থেকে থেকে ফেলে দেয়ার অপচেষ্টায় আছে। এমতাবস্থায় রামপাল এবং সুন্দরবনের মত স্পর্শকাতর ইস্যুতে কোন বিশেষ মন্ত্রী/সচিবের উপর ডিপেন্ড করা যাবেনা। আপনি নিজে সবকিছু বুঝে, শুনে কনভিন্সড হয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। আপনার সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত দেশের মানুষ মেনে নিবে।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)