বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাসুদ শিকদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ১০ জানুয়ারি নির্যাতনের বিচার চেয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাব্বী। এরপরের দিন এসআই মাসুদ শিকদারকে প্রত্যাহার করা হয়।
গতকাল শুক্রবার এই ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি।
বাসা ভাড়া দিতে গত ৯ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১১টার দিকে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে বাসায় ফিরছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক ছাত্র গোলাম রাব্বানী ওরফে রাব্বী।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সে সময় মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে তার গতিরোধ করে পুলিশ। আমার কাছে মাদকদ্রব্য আছে দাবি করে তল্লাশির নামে গাড়িতে উঠায়। তারপরই শুরু করে নির্যাতন।’
“এরপরের ঘটনা আরও দুর্বিষহ, আমাকে লাঠি-রাইফেলের মাথা দিয়ে গুতাচ্ছে, এক এক করে পোশাক খুলছে, আর আজেবাজে বকছে। ভাব নিচ্ছে, খুঁজছে, কোথায় আছে, ইয়াবা, নেশা জাতীয় দ্রব্য বা অস্ত্র-সরঞ্জাম জাতীয় কিছু…।”
সেসময় পুলিশের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, “আমাকে প্রচণ্ড পরিমাণে টর্চার করা হয়। এখনও মুখ খুলতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আমি কথা বলতে পারছি না।”
ওই সময় রাস্তায় এ রকম আরও কয়েকজনকে ধরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা টাকা আদায় করেন বলেও অভিযোগ করেন রাব্বী।
আটকের কথা শিকার করলেও রাব্বানীকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেন এএসআই মাসুদ।
মোহাম্মদপুর থানার এএসআই মাসুদ শিকদার বলেন, “আমরা তাকে দ্রুত ধইরা গাড়িতে উঠাইয়া তাজমহল রোডের মাথায় আসছি। এখন গাড়ির পিছনে ওনাকে কে কি বলছে এইটা আসলে আমি অবগত নই। আমিতো সামনে। তাকে চার্জ করার টাইমটাতেই তার সাথে আমার মুখোমুখি কথা হয়। টাকা নিয়া তো আমার কোনো কথাই হয় নাই।”