মূলত ফিটনেস ক্যাম্প, কিন্তু প্রতিদিনই সঙ্গে থাকছে বোলিং অনুশীলনও। কোর্টনি ওয়ালশের সেই বোলিং ক্লাসে মনোযোগী ছাত্র কামরুল ইসলাম রাব্বি। এই টাইগার পেসার কিংবদন্তি ক্যারিবীয় পেসারের সান্নিধ্যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কৌশলও রপ্ত করে চলছেন নিয়মিত।
রোববার বিসিবিতে অনুশীলনের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ৫টি টেস্ট খেলা রাব্বি। জানালেন, ওয়ালশ এখন তাদের স্পট বোলিং নিয়ে কাজ করছেন।
কোচ নিয়ে মুগ্ধতাও ঝরল রাব্বির কণ্ঠে, ‘এত বড় মাপের একজন খেলোয়াড়। তার কথাতে আমরা অনেক উপকৃত হই। টেকনিক্যালি বা মানসিকভাবে, সব ক্ষেত্রেই উপকৃত হয়েছি। আমাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ। সেজন্য কাজ করতে আমাদের সুবিধাই হয়।’
অনেকদিন ক্রিকেট খেলেই দলে এসেছেন রাব্বি। জানেন কি করতে হবে। এরপরও ওয়ালশ অভিজ্ঞতা দিয়ে মানসিক ও টেকনিক্যালি যে উন্নতিটা ঘটাচ্ছেন, সেটাও খোলাসা করলেন এই পেসার, ‘আমার ব্যালান্সে অনেক উন্নতি হয়েছে। আগে সেভাবে ইনসুইং পারতাম না, এখন পারি।’
রিভার্স সুইংটা ক্রিকেটে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা গুরুত্ব দিয়েই শিখতে চান রাব্বি। একটা জায়গায় টানা বোলিং করে যাওয়ার দক্ষতাও বাড়ানো চেষ্টা করছেন। ইদানীং তার কাছে ব্যাটিংয়েও প্রত্যাশা বেড়েছে। কাজ করছেন সেটা নিয়েও।
‘শুরুর দিকে ব্যাটিংটা ভালোই করতাম। যদিও শেষের দিকেই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেতাম বেশি। এখন দলের সবাই জানে ব্যাটিং করতে পারি। কোচেরও আস্থা জন্মেছে। ভাবছে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামালেও কিছু করতে পারবে। এটা আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। নেটেও কোচ আমার ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছে।’
তবে ডানহাতি এই পেসার জানেন কেবল প্রস্তুত হওয়াই শেষ কথা নয়, দলে জায়গা পাওয়া বা ধরে রাখারও একটা বিষয় আছে। স্কোয়াডের সীমিত জায়গার জন্য এখন অনেক প্রতিযোগিতা। রাব্বি অবশ্য নিজের পারফরম্যান্সেই বিশ্বাসী। ভালো করলে নির্বাচকরা নজর দেবে, এটাই উদ্দীপ্ত হওয়ার মন্ত্র তার। সতীর্থদের মধ্যে থাকা এই প্রতিযোগিতাটা তাই ইতিবাচক চোখেই দেখেন তিনি।