রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক নিয়োগে ‘নিম্নমুখী’ নীতিমালা দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকদের একাংশ।
সোমবার দুপুরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনের পাশে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে কর্মসূচিতে এ অভিযোগ করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ‘দুর্নীতিবাজ’ উল্লেখ করে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী বলেন: দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার মধ্যে অ্যাকাডেমিক যোগ্যতা ঊর্ধ্বমুখী তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা কেন নিম্নমুখী? কার স্বার্থে আগের যুগোপযোগী নিয়োগ নীতিমালার যোগ্যতা নিম্নে নিয়ে এসেছেন বর্তমান উপাচার্য। তিনি অযোগ্য মেয়ে-জামাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। অনেক যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে অযোগ্যদের নিয়োগ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন: একজন অযোগ্য শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ হলে তারা যে ৩০ বা ৪০ বছরের মত শিক্ষকতা করেন। এই দীর্ঘ সময় শিক্ষকতার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানকে অনেক নিম্নমানে নিয়ে আনবেন তারা। এমন একটি নিম্নমানের নীতিমালার জন্য অনেক অযোগ্য প্রার্থী নিয়োগ পাচ্ছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান সব দিক দিয়ে মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
এ সময় ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যতদিন দুর্নীতি হবে ততদিন আমরা আন্দোলন করবো। বর্তমান প্রশাসন নিম্নমানের নীতিমালা দিয়ে শিক্ষক নিয়োগের নামে পকেট ভারি করেছে। এমনভাবে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আলী রেজার সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ইলিয়াছ হোসেন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক শাহরিয়ার জামান, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুজিবুল হক আজাদ খান, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম মিজানুর রহমান প্রমুখ।