চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

রাবিতে জমকালো আয়োজনে ‘চৈত্র সংক্রান্তি’ উদযাপন

বাংলা বর্ষের শেষ দিন আজ। আর এই দিনকে বিদায় জানাতে ভোলেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। ১৪২৪-এর সমাপনী মাস চৈত্রের শেষ দিনে জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে চৈত্র সংক্রান্তি উদযাপন করলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ।

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে বিকাল ৫টা থেকে নানা আয়োজনের মধ্য দয়ে উদযাপিত হয় চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব। উৎসবমুখর আয়োজনের এক পর্যায়ে ‘নৃ-বচন’ পত্রিকার মোড়ক উন্মচোনসহ নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় নৃবিজ্ঞান বিভাগ।

বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানকে করেছে প্রাণবন্ত। মনোমুগ্ধকর আয়োজনের মধ্য দিয়ে চৈত্রকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মৌমিতা মন্ডলের সঞ্চালনায় বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আদিল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাহমিনা নাজনীন, সহযোগী অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ, কাজি রবিউল আলম, সহকারী অধ্যাপক লিটন হোসেন, অভিজিৎ রায়, কে এম মেরকাতুল ইসলাম, মোহাম্মাদ আলতাফ হোসেন প্রমুখ।

উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা বলেন, আমাদের গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য আমাদের প্রতিবছর এ ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা উচিত। এখন অনেক শিক্ষার্থীই জানে না চৈত্র সংক্রান্তি কী? এটা বাংলার সংস্কৃতির একটা অন্যতম পরিচয়, যা আমাদের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখে।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. আদিল হাসান চৌধুরী বলেন, চৈত্র সংক্রান্তি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে পুরনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরাই একমাত্র বিভাগ প্রতিবছর আনুষ্ঠানিকভাবে চৈত্র সংক্রান্তি উদযাপন করে থাকি। এটি একটি প্লাটফর্ম যেখানে বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিভা বিকশিত করতে পারে।

পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় নাচ, গান, ছায়াছন্দ, কবিতা, পুঁথিপাঠ, কৌতুক, নাটকসহ নানা আয়োজন করা হয়। এসময় বিভাগের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।