বেন ম্যাকডারমটের সেঞ্চুরি ও ওপেনার ট্রাভিস হেডের মারকুটে ব্যাটিংয়ে ভর করে বিশাল সংগ্রহ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই স্কোরটাও জয়ের জন্য যথেষ্ট হল না। ৩৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৬ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা টানল পাকিস্তান।
গত বৃহস্পতিবার লাহোরে হওয়া দিবারাত্রির ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে ৩৪৮ রান করে। জবাবে স্বাগতিকরা এক ওভার হাতে রেখেই ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই পাকিস্তানের সর্বাধিক রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। এর আগে ২০১৪ সালে এশিয়া কাপে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে পরে ব্যাট করে জয়ের পথে দলটি ৩২৯ রান করেছিল। আট বছর আগের সেই রেকর্ড এবার ভেঙে গেল।
রানের খাতা না খুলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। বোলার ছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। দ্বিতীয় উইকেটে ওপেনার ট্রাভিস হেডকে নিয়ে ১৬২ রানের জুটি গড়েন বেন ম্যাকডারমট।
গত ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া হেড এই ম্যাচে তা অল্পেরর জন্য পাননি। ৭০ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৯ রান করে জাহিদ মাহমুদের বলে শাহিন শাহ আফ্রিদির তালুবন্দি হন।
সেঞ্চুরি পাওয়া ম্যাকডারমট ১০৮ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে তার ক্যাচ নেন হারিস রউফ।
রানের চাকাকে সচল রাখেন মার্নাস লাবুশেন ও মার্কাস স্টইনিস। লাবুশেন তুলে নেন ফিফটি, আউট হওয়ার আগে করেন ৪৯ বলে ৫ চারে ৫৯ রান। স্টইনিস ৩৩ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় করেন ৪৯ রান। শেষদিকে ১৬ বলে ৪টি চারের মারে ২৮ রানের ইনিংস খেলে দলের স্কোর সাড়ে তিনশর কাছাকাছি নিয়ে যান শন অ্যাবট।
পাকিস্তানি বোলার শাহিদ শাহ আফ্রিদি ৬৩ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। দুই উইকেট পান মোহাম্মদ ওয়াসিম। একটি করে উইকেট পকেটে ভরেন জাহিদ মাহমুদ ও খুশদিল শাহ।
বড় রান তাড়া করতে নামা পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিং জুটিতে ১১৮ রান যোগ করেন ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক। ফখর ৬৪ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রান করার পর স্টইনিসের বলে বোল্ড হন।
দ্বিতীয় উইকেটে আবারো বড় জুটি পায় স্বাগতিকরা। ইমামের সঙ্গে ১১১ রান যোগ করেন অধিনায়ক বাবর আজম। সেঞ্চুরি পাওয়া ইমাম ৯৭ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৬ রান করে জাম্পার বলে লাবুশেনের ক্যাচে পরিণত হয়ে ফেরেন।
বাবরও করেন সেঞ্চুরি, তার ব্যাটেই গড়ে জয়ের ভিত্তি। ৮৩ বলে ১১ চার ও এক ছক্কায় তিনি ১১৪ রান করেন। নাথাল এলিসের শিকার হওয়ার আগে বাবর যখন মাঠ ছাড়েন, তখন পাকিস্তানের দরকার ছিল ৩৪ বলে ৪০ রান।
২৬ বলে ২৩ রান করে মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হলেও খুশদিল শাহর শেষের ক্যামিও পাকিস্তানকে জিতিয়ে দেয়। ১৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় তিনি ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ৮ রানে তার সঙ্গে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ইফতিখার আহমেদ।
অজি বোলারদের মধ্যে জাম্পা ৭১ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। একটি করে উইকেট পান স্টইনিস ও এলিস।
আগামী ২ এপ্রিল লাহোরে সিরিজের শেষ ওয়ানডে মাঠে গড়াবে। এটিও হবে দিবারাত্রির ম্যাচ।