নিউজিল্যান্ডের হৃদয় ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার প্রথমবার টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার মধ্য দিয়ে পর্দা নেমেছে আরব আমিরাত আসরের। কেন উইলিয়ামসনের দল টানা তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে হতাশায় ডুবেছে, বাকি দুটি গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে।
বাংলাদেশ বাছাইপর্বে খেলে সুপার টুয়েলভ পর্বে এসে ব্যাটে-বলে ডুবন্ত পারফরম্যান্স করেছে একটার পর একটা ম্যাচে। কোনো জয় ছাড়াই মূলপর্ব থেকে শূন্য হাতে ফিরে এসেছে। বাছাইয়ে হেরেছে স্কটল্যান্ডের কাছে।
দুর্দান্ত খেলতে থাকা পাকিস্তানকে সেমিতে হারিয়ে আসে টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে দাপট দেখাতে না পারা চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ড সেমিতে বিদায় করেছে শিরোপার অন্যতম দাবিদার ইংল্যান্ডকে।
সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে স্কটল্যান্ড, ওমান, নামিবিয়া দারুণ খেলা উপহার দিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের মতো ভরাডুবি দেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শক্তিশালী দল নিয়েও বেশিকিছু করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।
সাউথ আফ্রিকা সম্ভাবনা জাগিয়ে রানরেটের কারণে সেমির টিকেট কাটতে পারেনি। বিরাট কোহলির ভারতের সেমিতে উঠতে না পারা ছিল বিপর্যয়ের মতো।
এরমাঝেই ব্যাটে-বলে দারুণসব পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন খেলোয়াড়রা। শিরোপা জেতা ওয়ার্নার শুরুতে সমালোচনায় ডুবে শেষদিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে হয়েছেন সিরিজসেরা। উইকেট সংগ্রাহকের সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।
রান সংগ্রাহকের সেরা দুইয়ে আছেন ওয়ার্নার। ৭ ম্যাচে তিন ফিফটিতে ২৮৯ রান তার নামের পাশে। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৯ রান। ৩২ চারের পিঠে হাঁকিয়েছেন ১০ ছয়।
শীর্ষে অবশ্য বাবর আজম। পাকিস্তান অধিনায়ক চার ফিফটিতে ৬ ম্যাচে ৩০৩ রান করেছেন, সর্বোচ্চ ৭০ রান। তিনে তার সতীর্থ ও ওপেনিং সঙ্গী মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৬ ম্যাচে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৯ রানের সঙ্গে তিন ফিফটিতে যিনি করেছেন ২৮১ রান।
রানে চারে জস বাটলার, ৬ ম্যাচে ২৬৯ রান ইংল্যান্ড তারকার। শ্রীলঙ্কান আসালাঙ্কা ৬ ম্যাচে ২৩১ নিয়ে পাঁচে। নামিবিয়ার ডেভিড ওয়াইস ৮ ম্যাচে ২২৭ রানে টেবিলের ছয়ে। সাতে লঙ্কান নিশাঙ্কা ৮ ম্যাচে ২২১ রান নিয়ে।
আটে রানার্সআপ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, ৭ ম্যাচে ২১৬ রান নিয়ে, সর্বোচ্চ ইনিংসটি ফাইনালে খেলা ৮৫ রানের। কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ৭ ম্যাচে ২০৮ রান নিয়ে আছেন নয় নম্বরে।
সেরা দশের শেষজনও কিউই, ড্যারিল মিচেল ৭ ম্যাচে সংগ্রহ করেছেন গাপটিলের সমান ঠিক ২০৮ রান। বাকিদের মধ্যে আর কেউ এবার দুইশ রানের কোটা পার করতে পারেননি।
বোলারদের মধ্যে সেরা দশে আছেন বাছাই খেলা দলগুলোর কয়েকজন। শ্রীলঙ্কার হাসারাঙ্গা ৮ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা ৭ ম্যাচে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। ১৩ উইকেট নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্টেরও।
চারে টাইগার তারকা সাকিব আল হাসান, ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নামের পাশে। তার সমান উইকেট নিতে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার জস হ্যাজেলউডের ম্যাচ লেগেছে ৭টি। সাউথ আফ্রিকার ড্যান প্রিটোরিয়াসের সংগ্রহ ৯ উইকেট।
নয় উইকেট আছে আরও কয়েকজনের। প্রোটিয়া এনরিচ নর্টজে, স্কটিশ ড্যাভি, পাকিস্তানি শাদাব, ইংলিশ আদিল রশিদ, নামিবিয়ার ফ্রেইলিংক, কিউই ইশ শোধি ও অজি পেসার মিচেল স্টার্কের নামের পাশে ৯ উইকেট করে।
আট উইকেট আছে মোট ১১ জনের। আফগান রশিদ, প্রোটিয়া তাবরেইজ, লঙ্কান থিকসানা, টাইগারদের শেখ মেহেদী, প্রোটিয়াদের রাবাদা, পাকিস্তানের হারিস রউফ, কিউইদের সাউদি, স্কটিশদের শেরিফ, লঙ্কান লাহিরু কুমারা, বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর ও স্কটল্যান্ডের হুইলের।