২০ ওভারে ২২২ রান। প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর আগেই কাবু করতে রানের সংখ্যাটা যথেষ্ট। দলটা ইংল্যান্ড বলেই হয়ত এমন রান তুলেও কাবু করতে পারল না সাউথ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের রানপাহাড়কে মামুলি বানিয়ে ৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ ও সিরিজ জিতে বাড়ি ফিরছে ইয়ন মরগানের দল।
তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজের শেষটি খেলতে রোববার সেঞ্চুরিয়নে মুখোমুখি হয়েছিল সাউথ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের ১ রান ও দ্বিতীয় ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ইংলিশদের ২ রানের জয় বলে দিচ্ছিল দারুণ জমতে চলেছে শেষ ম্যাচটি। প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের বিশাল রানের পর তেমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল আরও বেশি করে। সবকিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শেষে ম্যাচটা পকেটে পুরলো ইংলিশরাই।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা সাউথ আফ্রিকাকে বড় রানের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার টেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি কক। মাত্র ৪৬ বলে দুজনে তোলেন ৮৪ রান।
৪ ছক্কা ও এক চারে ডি কক ২৪ বলে ৩৫ করে আউট হওয়ার পরের ওভারেই ফেরেন বাভুমা। ২৪ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ডানহাতি ব্যাটসম্যান করে গেছেন ৪৯ রান।
দুই ওপেনার ফিরলে রানের চাকা থামতে দেয়নি হেনরিক ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের ৩১ বলে ৬৩ রানের জুটি। মাত্র ৩৩ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় ক্লাসেন ৬৬ করে ফিরলেও মিলার ২০ বলে ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস নিয়ে গেছেন সাজঘরে। ইনিংস শেষে তখনও প্রোটিয়াদের হাতে আছে ৪ উইকেট।
ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই হোঁচট ইংলিশদের। ৭ রান করা ডানহাতি ওপেনার জেসন রয়কে সাজঘরে পাঠান পেসার লুনগি এনগিডি। প্রোটিয়াদের সাফল্যের গল্প সেখানেই শেষ করে দেন আরেক ওপেনার জস বাটলার এবং জনি বেয়ারস্টো।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৪৯ বলে ৯১ রান তুলেছেন বাটলার ও বেয়ারস্টো। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটি। ২৯ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ করে আউট হন বাটলার। ৩৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছেন বেয়ারস্টো। ৭ চারের সঙ্গে ছক্কার মার তার ব্যাটে ৩টি।
তখন পর্যন্ত আসল ঝড়ের দেখা পায়নি প্রোটিয়া বোলাররা। বাটলার-বেয়ারস্টো আউট হবার পর স্বাগতিক শিবিরে খানিকটা স্বস্তি যা ফিরেছিল, তা কেড়ে নেন মরগান। ২২ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে ৫ বল আগেই দলকে এনে দেন জয়।
এনগিডিকে ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ২১ বলে নিজের করা ইংল্যান্ডের দ্রুততম টি-টুয়েন্টি ফিফটির রেকর্ড স্পর্শ করেন মরগান। গত নভেম্বরে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২১ বলে আরেকটি দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড আছে তার। নিজের যৌথ দ্রুততম ফিফটির পথে কোন চার মারেননি ইংলিশ অধিনায়ক, যে ৭টি বাউন্ডারি এসেছে তার ব্যাট থেকে সবগুলোই ছক্কা। এমন ইনিংসের পর তাই ম্যাচসেরা, সঙ্গে সিরিজ সেরার পুরস্কারটাও উঠেছে মরগানের হাতে।