ভুটানের বিপক্ষে দুই গোলে জয়ের ম্যাচেও প্রশ্নটা উঠেছিল, নেপালের বিপক্ষে গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলের হাস্যকর এক গোল খাওয়া ভুলের পর প্রশ্নটা উঠে এলো আবারও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে প্রায় একইরকম আরেকটি ভুলে গোল খাওয়ার পরও কেনো সাফের মূল দলে জায়গা পেলেন সোহেল? সেখানে এশিয়ান গেমসে দুর্দান্ত খেলার পরও কেনো ডাগআউটে বসিয়ে রাখা হল আশরাফুল আলম রানাকে?
প্রশ্নটা আরেকদফা ওঠার পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে সমালোচনা থেকে আড়াল করতে চাইলেন শিষ্যকে। এক ম্যাচের ভুলে সোহেলের অর্জন খাটো হয়ে যাবে না বলেও দাবি তার, ‘ও(সোহেল) পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত কিছু সেভ করেছিল। সেই সেভগুলো আমাদের ম্যাচে রেখেছিল। আজও করেছে। দুর্ভাগ্যক্রমে ও গোলটা হজম করে বসেছে। আর ফুটবলে এটা হতেই পারে।’
‘রানা এশিয়ান গেমসে বড় বড় কিছু ভুল করেছে। ওর ভুলের কারণেই থাইল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা গোল হজম করেছিলাম। আমার মনে হয়েছে সোহেলই এখানে ঠিক ছিল।’ যোগ করেন কোচ জেমি ডে।
সোহেলকে প্রথম পছন্দ বললেও এশিয়ান গেমসের প্রাথমিক দলেই ছিলেন না আবাহনীর এই গোলরক্ষক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩০ গজ দূর থেকে প্রতিপক্ষের নেয়া শটে গোল হজম করেছিলেন তিনি, অযথা পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন বলে। তাপরও তাকে সাফে ভুটানের বিপক্ষে মূল একাদশে রেখে অবাক করেছিলেন কোচ। ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের ফাইনালেও মালয়েশিয়ার বিপক্ষে কর্নার থেকে হাস্যকর এক গোল হজম করেছিলেন এ গোলরক্ষক।
বাতাসে দুর্বল জেনেও কেনো দলে সোহেল? বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সে ঘুরে বেড়াল একটাই গুঞ্জন। আলোচনায় উঠে আসল জাতীয় দল ও আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপুর পরামর্শেই রানার পরিবর্তে মূল দলে সোহেল।